জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগে কানাডাকে আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের যথাযথ বিকাশ হলে কৃষি সেক্টর লাভবান হবে। সেই সাথে কর্মসংস্থানের নতুন ও বৈচিত্রময় ক্ষেত্র তৈরি হবে। এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগে কানাডার সহযোগিতা চাই।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়াট প্রেফন্তের (Mr. Benoit Prefontaine) কে এসব তথ্য তুলে ধরেন। সচিবালয় কৃষিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাত অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ সালে এ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

বর্তমান সরকারের কৃষি ও কৃষিজাত সেক্টরে গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়, পাশাপাশি কৃষির উপখাতেও ভালো অগ্রগতি হয়েছে।

দেশের পোল্ট্রি শিল্প এখন ঘুরে দাড়িয়েছে। ফসল, সবজি ফলসহ পোল্ট্রি ও ডেইরি ফার্মেও উৎপাদন ভালো। সবক্ষেত্রে উৎপাদন ভালো হলেও উৎপাদনকারিগণ তেমন লাভবান হচ্ছে না। উৎপাদন খরচ ও বিক্রির মধ্যে তেমন তারতম্য নেই। অনেক সময় উৎপাদন খরচের চেয়ে বিক্রি কমদামে করতে বাধ্য হয় উৎপাদনকারীগণ।

আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষকদের এবং টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে এ সেক্টর আরও লাভবান হবে যা জাতীয় অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন বেশ লক্ষ্যণীয়। দু’দেশের মাঝে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ়করণের লক্ষ্যে কাজ করছে কানাডা। কানাডার বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা যে কোন দেশের ব্যবসায়ী সমাজের মতামতকে গুরুত্ব প্রদান করে থাকেন।

বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগের খাত সম্পর্কে অবহিত হতে রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে তারা খাদ্য নিরাপত্তায় সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রাধান্য পাবে। তারা কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ টেকনিকাল সহায়তা করবে বাংলাদেশকে।জার্মপ্লাজম,শস্যের বৈচিত্রায়ন ও  শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে যৌথভাবে কাজ করবে।

এসময় উপস্থিত কানাডিয়ান কর্মাশিয়াল কর্পোরেশন এর Vicce President বলেন, তারা নবায়ণযোগ্য জ্বালানী, জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবেলায় বিনিয়োগ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে সোলার প্যানেলের ইন্ডাট্রিজ করার আগ্রহের কথা বলেন। কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, বাজারজাত ও রপ্তানিকরণে বাংলাদেশের সাথে যৌথ অংশিদারিত্বে কাজ করবে দেশটি। এক্ষেত্রে তাদের দেশের ব্যাবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন।

কৃষিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত ও  প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশে ইন্ডস্ট্রিজ স্থাপনে এখন আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কোন সমস্যা নেই। দেশে বিনিয়োগের নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান, বিনিয়োগে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।

ছয় সদ্যসের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন Mr. Mark Strasser Deputy Director Global Affairs, Canada Ms. Corinne Petrisor, Counselor (Commercial Affairs) Mr. Kamal Uddin, Trade Commissioner High Commison Of Canada আরো ছিলেন Canadian Commercial Corporation এর Vicce President Mr.   Charls Paul Marcotte  ও Regional Director Asia Ms.Yvonne Chin.

 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।