খামারিদের প্রণোদনা নিশ্চিতে ভর্তুকী

নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খামারিদের প্রণোদনা নিশ্চিতে ভর্তুকী মূল্যে খাদ্য ও বাচ্চা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন ফিড ইনস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান। তিনি বলেন, তৃণমূল খামারিরা যেন প্রণোদনার সুবিধা থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত না হন সেজন্য এ প্রস্তাব করছি।

২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট পেশ হওয়ার পর পোল্ট্রি শিল্পের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে তিনি এ প্রস্তাব করেন।

পোল্ট্রি শিল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা মো. আহসানুজ্জামান বলেন, এ মুহুর্তে মূল চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে তৃণমূল খামারিদের উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা। মূলধন সংকটের কারণে খামারিরা উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তৃণমূল খামারিরা যেন প্রণোদনার সুবিধা থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত না হন সেজন্য ভর্তুকী মূল্যে ফিড ও বাচ্চা দেয়ার প্রস্তাব করছি। ফিড মিল ও ব্রিডারদের মাধ্যমে এ সুবিধা খুব সহজেই পৌঁছে দেয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: পোল্ট্রি ও মাছের খাবারের দাম কমতে শুরু করেছে

প্রণোদনার আওতায় খামারিদের দক্ষতা-উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকেও অন্তর্ভূক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এর সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার।

তিনি বলেন, জীব-নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। কাঁচা বাজারে জীবন্ত মুরগি বিক্রি বন্ধ করতে হবে। খামারিদের মাঝে বিনামূল্যে জীবানুনাশক ও পানি বিশুদ্ধকরণ ঔষধ বিতরণসহ রোগ প্রতিষেধক টিকা সহজলভ্য করতে হবে।

প্রান্তিক খামারিরা যেন বাজেটের সুফল পান সেটা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইপিএবি) সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বাজেটের সুফল যেন প্রান্তিক খামারিদের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয়া যায় সেটাই এ সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

খামারিদের প্রণোদনা নিশ্চিতে ভর্তুকী মূল্যে খাদ্য ও বাচ্চা দেয়ার প্রস্তাব টার সাথে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অধিকাংশই একমত প্রকাশ করেন। তারা মনে করছেন, প্রণোদনার অর্থ অবশ্যই প্রান্তিক খামারিদের পৌঁছাতে হবে। নইলে এ শিল্প বড় ধরণের ধাক্কা খেতে পারে। নগদ সহায়তার পরিবর্তে তাদের পণ্যের মাধ্যমে সেই অর্থ দেয়ার প্রস্তাব অনেক ভালো।