ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আমাদের দেশের অনেক চাষিই গমের ভালো ফলন না পেয়ে হতাশ হন। তারা গমের পাতার দাগ ও গোড়া পঁচা রোগ দমনসহ বিভিন্ন রোগ দমন সম্পর্কে জানেন না। ফলে তারা গমের ভালো ফলন পান না।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গমের পাতার দাগ ও গোড়া পঁচা রোগ দমনের কৌশল গুলো:

গমের পাতার দাগ :
কারণ: বাইপোরারিস সরোকিনিয়ানা নামক ছত্রাক এ রোগ ঘটায়।
ক্ষতির ধরণ: গাছ মাটির উপর আসলে প্রথমে নীচের পাতাতে ছোট ছোট বাদামি ডিম্বাকার দাগ পড়ে। পরবর্তীতে দাগ সমূহ আকারে বাড়তে থাকে এবং গমের পাতা ঝলস দেয়। রোগের জীবাণু বীজে কিংবা ফসলের পরিত্যক্ত অংশে বেঁচে থাকে। বাতাসের অধিক আদ্রতা এবং উচ্চ তাপমাত্রা (২৫ ডিগ্রী সে.) এ রোগ বিস্তারের জন্য সহায়ক।

আর পড়ুন: গমের গোড়া পঁচা রোগ ও তার প্রতিকার

দমন ব্যবস্থাপনা:
১. রোগমুক্ত জমি হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
২. গাছের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৩. প্রতি কেজি গম বীজে ২.৫-৩.০ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
৪. টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) এক মিলি প্রতি আড়াই লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

গমের গোড়া পঁচা রোগ :
কারণ: স্কেলেরোশিয়াম রলফসি নামক ছত্রাক দ্বারা গমের এ রোগ হয়।
ক্ষতির ধরণ: গমের গোড়া পঁচা রোগের ফলে মাটির সমতলে গাছের গোড়ায় হলদে দাগ দেখা যায়। পরে তা গাঢ় বাদামি বর্ণ ধারণ করে এবং আক্রান্তস্থানের চারিদিক ঘিরে ফেলে। পরবর্তীতে পাতা শুকিয়ে গাছ মারা যায়। রোগের জীবাণু মাটিতে কিংবা ফসলের পরিত্যক্ত অংশে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকে। সাধারণত বৃষ্টির পানি, সেচের পানি দ্বারা এক জমি হতে অন্য জমিতে বিস্তার লাভ করে।

আরও পড়ুন: অধিক ফলন পেতে গমের যেসব জাত নির্বাচন করবেন

দমন ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ প্রতিরোধী কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ ও গৌরব জাতের চাষ করতে হবে।
২. মাটিতে সব সময় পরিমিত আর্দ্রতা থাকা প্রয়োজন।
৩. ভিটাভেক্স-২০০ নামক ঔষধ প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।

গমের পাতার দাগ ও গোড়া পঁচা রোগ দমনের কৌশল শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি