আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নিউজিল্যান্ড সরকার গরুর ঢেকুর ও পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণের জন্য মালিক কৃষকের ওপর কর আরোপ করতে চায় । এমন প্রস্তাবনার কারণ নিউজিল্যান্ডের কৃষিশিল্প থেকে আসা ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন মোকাবিলা করা। এমনই খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন।

নিউজিল্যান্ড সরকারের নতুন জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্রস্তাবে এ কর আরোপের কথা রয়েছে। বিশ্বে এ ধরনের উদ্যোগ সম্ভবত প্রথম।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন গত মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি নিশ্চিত করেন, তাঁর সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে গবাদিপশুর নির্গমনের জন্য মালিক কৃষকদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবটি নিয়ে এগিয়ে যাবে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের অন্যান্য নিউজ পড়তে পারেন:

ব্রোডি গেমের ২টি থেকে ৩০০টি গরুর খামার যেখাবে

আলোহীন চোখ নিয়ে গরুর খামারে লাখোপতি ফাহিম

বড় নয়, মাঝারি দেশাল গরুর দিকে যে কারণে ঝুঁকছে খামারিরা

জেসিন্ডা বলেন, নিউজিল্যান্ডের একটি কম নির্গমনের ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২৫ সাল থেকে কৃষি খাতের নির্গমনের ওপর মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের অংশ এ পদক্ষেপ।

নিউজিল্যান্ড বিশ্বের একটি প্রধান পশুসম্পদ ও মাংস রপ্তানিকারক দেশ। গবাদিপশুর প্রাকৃতিক নির্গমন থেকে উৎপাদিত গ্রিনহাউস গ্যাস দেশটির সবচেয়ে বড় পরিবেশগত সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। দেশটির মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের অর্ধেকই কৃষি খাত থেকে আসে।

নিউজিল্যান্ড সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটির কৃষকদের মালিকানাধীন গবাদিপশু থেকে নির্গত গ্যাসের জন্য অর্থ (কর) দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে গবাদিপশুর মূত্র থেকে আসা নাইট্রাস অক্সাইড এবং গরুর ঢেকুর ও পায়ুপথ থেকে নির্গত বায়ু থেকে আসা মিথেন গ্যাস। জেসিন্ডা কৃষকদের বলেছেন, তাঁরা পরিবেশবান্ধব পণ্যের দাম বেশি রেখে পরে এ করের খরচ তুলতে সক্ষম হবেন।

জেসিন্ডা বলেছেন, এ বাস্তবিক প্রস্তাব নিউজিল্যান্ডের কৃষি খাতের নির্গমন কমাবে। নিউজিল্যান্ডের রপ্তানি ‘ব্র্যান্ড’ বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যকে আরও টেকসই করে তুলবে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত পরিকল্পনার আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে যেসব কৃষক পশুপালের আকার ও সার ব্যবহারের সীমা পূরণ করবে, তাঁদের একটি কর দিতে হবে। করহার সরকার নির্ধারণ করবে।

নিউজিল্যান্ড সরকার বলছে, এ কর থেকে অর্জিত অর্থের পুরোটাই গবেষণা, নতুন প্রযুক্তি ও জলবায়ুবান্ধব কৌশল গ্রহণকারী কৃষকদের জন্য ভর্তুকিতে ব্যয় করা হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ