গরু মোটাতাজাকরণ ও ছাগল

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গরু মোটাতাজাকরণ ও ছাগল, ভেড়া, গাভী পালনে মিলবে কৃষি ঋণ। নতুন অর্থ বছর (২০১৯-২০) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় নতুনভাবে এই নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে।

কৃষি ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ কর্তৃক ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে নতুন ভাবে এ ঋণ ‍সুবিধার তথ্য সংযোজন করা হয়।



মঙ্গলবার (২৩ জুলাই, ২০১৯) বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস, এম, মনিরুজ্জামান ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরার সময়ে এসব বিষয় জানানো হয়।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ এই নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়সমূহের মধ্যে রয়েছে এমএফআই লিংকেজের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে ব্যাংকসমূহকে নিজস্ব শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির নির্দেশনা প্রদান।

কাজুবাদাম, রাম্বুটান ও কচুরিপানার ডাবল বেড পদ্ধতিতে আলু চাষে ঋণ প্রদান করা হবে।

১ টাকা  হতে যে কোনো অংকের সকল বকেয়া শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে কিন্তু নতুন মঞ্জুরি বা নবায়নের জন্য ২.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না।

ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা (বীজ উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের জন্য) সংযোজন। শস্য/ফসল খাতে ঋণ বিতরণের জন্য একর প্রতি ঋণ সীমা যৌক্তিক পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ।

গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, ছাগল ও ভেড়া পালনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন। বাণিজ্যিকভাবে রেশম উৎপাদনের জন্য ঋণ নিয়মাচার সংযোজন।

এটুআই কর্তৃক গৃহীত কৃষি ও পল্লী ঋণ সহজীকরণ সিস্টেমটির পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন।  নতুন অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ১০.৬৫ শতাংশ বেশি।

গরু মোটাতাজাকরণ ও ছাগল, ভেড়া, গাভী পালনে মিলবে কৃষি ঋণ সংবাদটির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: নতুন অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা