নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, “বগুড়ায় ১ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার শস্যচিত্রের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। যা গিনেজ বুকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন রেকর্ড।”

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে যারা তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলো তাদেরকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর চিত্রের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবো। বাংলাদেশ পারে এবং পারবে আজ আবার প্রমাণ করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কৃষিবিদদের উদ্যোগে খুব ভালো কাজ হয়। বাংলাদেশের কৃষিবিদরা যে সফল তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। এর আগেও তাদের হাত ধরেই আরো অনেক ভালো কাজ হয়েছে। এই সকল কিছুর পিছনে মূলচিন্তা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

তিনি বলেন,এটা শুধু গিনেজ বুকে বাংলার নাম লেখা নয়,বাংলার বুকে জাতির পিতাকে যেন চিরতরে লেখা থাকে সেটাই লক্ষ। এটাই শেষ নয়, এখান থেকে শুরু সমানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাভাবনার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গিনেজ বুকে নাম লেখা হচ্ছে এবং নতুন ভাবে ইতিহাসে সৃষ্টি হচ্ছে। এ থেকে নতুনভাবে কৃষক উজ্জীবিত হবে।

তিনি বলেন, শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধুর প্রতিছবি তৈরি করার জন্য দুই ধরনের ধান বেছে নেয়া হয়েছে, নীল ও সোনালী রং।
একশত বিএনসিসি সদস্যের নিয়ে জমিও তৈরি করা হয়েছে।

আগামীকাল এই ধানের চারা রোপণ হবে। বাংলার মাটি ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুকে ফুটিয়ে তোলে জাতির সমানে আমরা তুলে ধরতে যাচ্ছি। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন রেকর্ড তৈরি করে উদ্ধোধন করা হবে। শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধু এর আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪শত মিটার প্রস্থ ৩শত মিটার।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।

গিনেজ বুকে নতুন রেকর্ড শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শিরোনামে সংবাদের তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ