ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গোল মরিচ লতা জাতীয় ‍উদ্ভিদ। এদের ফলকে শুকিয়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। হঠাৎ ঢলে পড়া রোগ এবং বিভিন্ন পোকামাকড় গোল মরিচের মারাত্নক ক্ষতি করে।

আসুন এসব রোগরে দমন সম্পর্কে জেনে নিই:

নার্সারীতে ঢলে পড়া রোগ:
পরিচিতি: নার্সারীতে পাতা পচা ও ঢলে পড়া রোগ দেখা যায়। পাতা পচা রোগে পাতায় কাল দাগ পড়ে এবং ঢলে পড়া রোগ হলে কাটিং নেতিয়ে পড়ে।

দমন: ব্যাভিস্টিন বা কপার অক্সি ক্লোরাইড নামক ছত্রাক নাশক প্রতি দশ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম হারে ১০-১২ দিন অন্তর অন্তর ৩ বার প্রয়োগ করলে এ রোগ দমন করা যায়।

আরেও পড়ুন: ধানে সবুজ পাতা ফড়িং দমনের কৌশল

মাঠে হটাৎ ঢলে পড়া রোগ: 
লক্ষণ:
১. পাতার উপর কালো দাগ পড়ে এবং পরে দাগ বড় হয়।
২. কচি পাতা ও ডগা আক্রমণে কালো হয়ে যায়। অধিক আক্রমণে গাছ মরে যায়।
৩. গোড়া সহ সকল স্থানে আক্রমণ ছড়াতে পারে।
৪. বর্ষা মৌসুমের শেষে আক্রমণ হলে গাছ হলুদ হয়ে ঢলে পড়তে পারে।

দমন ব্যবস্থাপনা:
১. মাটিসহ গাছ তুলে ধ্বংস করা
২. রোগমুক্ত কাটিং ব্যবহার
৩. পরিচর্যার সময় শিকড়ে ক্ষত করা যাবেনা
৪. সাকার (ডগা) মাটিতে বাড়তে দেয়া যাবেনা
৫. ০.২% হারে কপার অক্সিক্লোরাইড প্রয়োগ

পোকা
পোকার নাম : ফ্লি বিটল
পরিচিতি: পূর্নাঙ্গ বিটল কালো পাখা যুক্ত, মাথা ও ঘাড় হলদে বাদামী বর্ণের।

আরও পড়ুন: ধানে শীষকাটা লেদাপোকা দমনে করণীয়

ক্ষতির ধরণ :

১.পূর্ণাঙ্গ বিটল ফল ছিদ্র করে ফলের মধ্যে ঢুকে ভেতরের অংশ খায়।
২.আক্রান্ত ফল প্রথমে হলুদ ও পরে কালো হয়।
৩.কীড়া ফলের বীজ ছিদ্র করে ভেতরের অংশ খায় ।

ব্যবস্থাপনা :
১.নিয়মিত গাছ ছাঁটাই করে বৃদ্ধি কমাতে হবে।
২.অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। ।

গোল মরিচে হঠাৎ ঢলে পড়া রোগ হলে যা করবেন শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার  / এমবি