নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আন্দামান সাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এই লঘুচাপ যে কোনো মুহূর্তে ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। যা বাংলাদেশের উপকূলীয় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। সেই সাথে ৬ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

দেশের সকল সমুদ্রবন্দরকে পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে। আর দেশের ১১ নদী বন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ৮ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৭ মে) এক বার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, এখনো কোনো সতর্কতা জারি না করলেও লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না, এটি কোনদিকে আঘাত হানবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আগামী ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের পশ্চিম অথবা পূর্বাঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

পড়তে পারেন: মাছ চাষে কোটিপতি ফরহাদ, চলতি বছরে ৭০ লাখ!

পূর্বাভাস অনুযায়ী আন্দামান সাগরে লঘুচাপ থেকে যে ঘুর্ণিঝড় আসানির সৃষ্টি হচ্ছে তার গতিবেগ হতে পারে ৭৫ কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে এটি ভারতের উড়িশ্যা উপকূলে প্রথমে আঘাত হানতে পারে। এসময় পশ্চিমবঙ্গ আসাম, সিকিমসহ উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলোতে আঘাত হানতে পারে। ফলে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ আবহাওয়া্বিদ এ একে এম নাজমুল হক জানান, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দু-এক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পড়তে পারেন: মরুর দুম্বা পালনে ৪ বছরে কোটিপতি বরিশালের বাদল

ভারতের আবহাওয়া দফতর জানায়, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়টি ১০-মে’র মধ্যে।

তবে স্থলভাগে আছড়ে পড়লে ঘূর্ণিঝড়টি কোন রাস্তা দিয়ে যাবে এবং কেমন ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে, সে বিষয়ে আবহাওয়া দফতর এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছু জানায়নি। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়লে সেটি ওড়িশার কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, জাজপুর, বালাসোর, মযূরভঞ্জ এবং কেওনঝড়ে আঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা।

ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়লে বিহার, ঝাড়খণ্ডে তুমুল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা। ৩-৪ দিন ধরে ওই রাজ্যগুলিতে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। কেরল তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং পুদুচেরিতে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ