অর্থ-বাণিজ্য, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন আগের তুলনায় কমেছে।এতে চাঙ্গা হতে পারে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বাজার। এমনই সম্ভাবনার খবর প্রকাশ করেছে দ্য স্টার।

পাম অয়েলের বাজার চাঙ্গা হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বাজারবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিজিএস-সিআইএমবি রিসার্চের প্রধান ইভি নেগ। তিনি মনে করেন, চলতি বছর মালয়েশিয়ান অপরিশোধিত পাম অয়েলের (সিপিও) টনপ্রতি গড় দাম ২ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত হতে পারে, যা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, চলতি বছর প্রতিকূল আবহাওয়া ও মহামারীর কারণে পাম অয়েল উৎপাদন কিছুটা বিঘ্নিত হয়। মহামারীর কারণে এবার শ্রমিক সংকটে পড়তে হয় মালয়েশিয়ার পাম অয়েল খাতকে। অন্যদিকে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রত্যাশার তুলনায় পাম উৎপাদন কমে এসেছে।

ইভি নেগ বলেন, এ বছর সিপিওর দামের ক্ষেত্রে উত্থান-পতনের বছর। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ায় সিপিওর উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বায়োডিজেল খাতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এ সময় প্রতি টন সিপিওর দাম ৩ হাজার রিঙ্গিতে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু করোনা মহামারীর আঘাতে মার্চে দাম ২ হাজার রিঙ্গিতের নিচে নেমে আসে।

মালয়েশিয়া পাম অয়েল বোর্ডের এক বিবৃতি অনুযায়ী, সোমবার প্রতি টন সিপিওর গড় দাম ৩ হাজার ১৩৪ রিঙ্গিতে গিয়ে ঠেকেছে। মূলত ভারত ও চীনের ব্যাপক চাহিদার কারণে ভোজ্যতেলটির দামে বেশ উল্লম্ফন হয়েছে। তবে সে ধারা শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

পাম অয়েলের শীর্ষ ভোক্তা দেশ চীন ও ভারত। দেশ দুটোতে যখন চাহিদা বাড়ে তখনই পাম অয়েলের বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করে। আবার ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় ভোজ্যতেলটির উৎপাদন কম-বেশি হলেও বাজারের ওপর তার প্রভাব পড়ে। এজন্য গত মার্চে যখন করোনা মহামারী ব্যাপক আকার ধারণ করতে শুরু করে তখন অন্যান্য পণ্যের মতো পাম অয়েলের দামও কমে প্রতি টন ২ হাজার রিঙ্গিতের নিচে নেমে আসে। কারণ এ সময়ে ভোজ্যতেলটির প্রধান ভোক্তা দেশ চীন ও ভারত তাদের ক্রয়াদেশ কমিয়ে আনতে শুরু করে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ