নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: উপকূলীয় জেলা বরগুনায় চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বাদামের ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। এখান বাদাম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অংশ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠানো হচ্ছে।

চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া খারাপ থাকলে বাদামের ফলন কম হয়। গাছ মরে যায়, পাতার রোগ ধরে। কিন্তু এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় বিঘাপ্রতি লাভের পরিমান বেড়েছে।

কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে বরগুনা সদর উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তাছাড়া ২০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ বেড়েছে।

বাদামের পাইকারি বিক্রেতা হাকিম উদ্দিন বলেন, এবার বাদামের দাম বেশি। আমরা ব্যবসায়ীরা মূলত চাষিদের কাছ থেকে আমরা ন্যা্যে মূলে বাদাম কিনি। এখান থেকে বাদম কিনে রাজধানীসহ ১৬টি জেলায় বাদাম পৌঁছে দিই। আমাদের লাভের পরিমাণ কমে গেছে। পরিবহন খরচ বাড়তি থাকায় আগের মতো লাভ আসেনা।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

বাদাম ভুট্টা ধান চাষে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন আকলিমা

চরের পলি মাটিতে বাদাম চাষে ব্যস্ত চাষিরা

আষাঢ় মাসে চাষ করুন বিনাচিনাবাদাম-৭, ফলন আড়াই টন

২ বছরে ২০ লাখ কাজুবাদামের চারা বিতরণ

বাদাম চাষি রফিক বলেন, বাদাম তোলার সময় যদি দাম না পাওয়া যায় তাহলে লাভবান হওয়া যায় না। এ বছর বাদামের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় বিগত কয়েক বছরের চেয়ে লাভ বেশি হয়েছে। আশা করি আগামী বছর একটু বেশি জমিতে বাদাম চাষ করবো। কৃষি দপ্তর থেকে সহযোগিতা করলে ভালো হয়।

বাদাম চাষি হাফিজ বলেন, ৩ বিঘা জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছি। বর্তমানে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করছি। সব রকম খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি লাভ হয়েছে। ১৫ হাজার টাকার বেশি লাভ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাদাম পরিপক্ক হয়ে গেলে গাছসহ উপড়ে নিতে হয়। গাছ তোলার পর জমিতে সারি করে রেখে দিলে বাদামের গায়ে কাদামটি কিছুটা শুকিয়ে যায়। কেউ কেউ বাদাম তোলার পর তখনই গাছ থেকে আলাদা করে ফেলে। তারপর সেটা বাড়িতে নিয়ে রোদে শুকিয়ে বেছে বিক্রি করে।

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে বরগুনা সদর উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকের কারিগরি পরামর্শ ও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। চিনা বাদামের দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। এখানকার বাদাম দেশ ও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফল বড় হওয়ার কারণে ভেতরের দানা বড়। তাই চাহিদা বেশি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ