নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আজ থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য দিবস ২০২২। রাজধানীর বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। বিভিন্ন মাছের কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। অন্যদিকে বাজারে ডিমের আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কাওরান বাজার, বাদামতলী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাক। মাছের আমদানি কমার কারণে মাছের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে এক ডজন (১২টি) ডিমের কমেছে ১০ থেকে ১১ টাকা। মুরগির কেজিতে কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

পড়তে পারেন: দেশে ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ, কেজিতে কমলো ১০ টাকা

শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাছের আমদানি কমেছে প্রায় অর্ধেকে। ফলে দাম বেড়েছে কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি ইলিশ মাছের কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী জামসেদ হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মাছের কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। প্রতিটা ঈদের পর দাম বাড়ে। বড় সাইজের তেলাপিয়া  আগে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি তা বর্তমানে ২২০ টাকা কেজি, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা যা আগে ছিল ৩২০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ এবং সাড়ে ৫ কেজির উপরে কাতল ৪৫০ টাকা।

ইলিশের বাজার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট সাইজের ইলিশ ৮৫০ টাকা, মাঝারি সাইজের ১০০০ থেকে ১২০০ এবং দেড় কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০, মাঝারি চিংড়ি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০, টেংরা ৬০০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৬৫০, আইড় ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: রাজশাহীতে ডিম- মুরগির দামে ব্যাপক উঠানামা

মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বলেন, ঈদের পর মাছ ধরার জন্য জেলে পাওয়া যায় না। ঈদের কারণে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ যাতায়াত করে ফলে মাছ পুকুর থেকে সংগ্রহ করার লোক পাওয়া যায় না, নিয়ে আসার লোক পাওয়া যায় না। এজন্য আমদানি কম হয়। আমদানি কমের কারণে দাম বেড়েছে আবার সপ্তাহখানেকের মধ্যে কমে যাবে।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। একই ডিম খুচরা দোকানে পিস হিসেবে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ১২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, তিন ধরনের বেগুন ৪০-৬০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৮০, করলা ৫০-৬০, কাঁকরোল ৪০, টমেটো ৮০-৯০, পটোল ৪০, শসা ৬০, গাজর ১০০, কচুরমুখী ৫০, কচুরলতি ৫০, মুলা ৫০, ধুন্দল ৪০, চিচিঙ্গা ৩০, ঝিঙা ৫০।

বাজার সহনশীল থাকায়, পেঁপে ২৫ এবং ঢেঁড়স ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ ও চাল কুমড়া ৩০ টাকা পিস হিসেবে এবং মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৩০, কাঁচা কলা ৩০ ও লেবু ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সবজি ব্যবসায়ীরা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ