কোয়েল পালনের আর্থিক সুবিধা

পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম:  অন্যান্য পোল্ট্রির তুলনায় কোয়েলের মাংস এবং ডিম গুণগতভাবে শ্রেষ্ঠ। আনুপাতিক হারে কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং আমিষ বেশী। জেনে নিন কোয়েলের জাত ও পালনের সুবিধা।

কোয়েল পালনের সুবিধা:

১. কোয়েল দ্রুত বাড়ে, ৬-৭ সপ্তাহে ডিমপাড়া শুরু করে এবং বছরে ২৫০-২৬০ টি ডিম পাড়ে ।
২. ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রেটিনের ভাগ বেশি ।
৩. কোয়েলর দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশী।
৪. ৮-১০ টা কোয়েল একটি মুরগীর জায়গায় পালন করা যায় এবং ১৭-১৮ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
৫. রোগ বালাই খুব কম এবং খাবার খুবই কম লাগে।
৬. বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের উপযোগী।
৭. অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অল্প দিনে বেশী লাভ করা যায়।

কোয়েলের জাত:

পৃথিবীতে বর্তমানে ১৭-১৮ জাতের কোয়েল আছে। অন্যান্য পোল্ট্রির মত ইহার মাংস এবং ডিম উৎপাদনের জন্য পৃক পৃক জাত আছে। পৃথিবীতে কোয়েলের বিভিনড়ব জাতের মধ্যে “জাপানীজ কোয়েল” অন্যতম। উলেস্নখ্য বিভিনড়ব জাতের কোয়েলের প্রকৃত উৎস জাপানীজ কোয়েল।

প্রজনন:

শুধুমাত্র ডিম ফুটাতে চাইলে স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েল একত্রে রাখার প্রয়োজন। স্ত্রী কোয়েল প্রতিপালন অধিক লাভজনক। আশানুরুপ ডিমের উর্বরতা পেতে হলে ৩ টি স্ত্রী কোয়েলের সাথে ১টি পুরুষ কোয়েল দেওয়ার ৪ (চার) দিন পর থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করা উচিৎ। স্ত্রী কোয়েল থেকে পুরুষ কোয়েল আলাদা করার পর তৃতীয় দিন পর্যন্ত ফুটানোর ডিম সংগ্রহ করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় কোয়েল ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে এবং ৮-১২ মাস পর্যন্ত ডিম পাড়া অপরিবর্তিত থাকে। উপযুক্ত পরিবেশে প্রম বছর গড়ে ২৫০-৩০০ টি ডিম পাড়ে। দ্বিতীয় বছরের ডিমের উৎপাদন প্রথম বছরের উৎপাদনের শতকরা ৪৮ ভাগ। কোয়েল ডিমের উর্বরতা শতকরা ৮২-৮৭ ভাগ। ডিমপাড়া শুরুর প্রম দুই সপ্তাহের ডিম ফুটাতে বসানো উচিৎ নয়। কোয়েলের ডিমের গড় ওজন ১০-১২ গ্রাম।

আরোও পড়ুন:মুরগির পুলোরাম রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

মুরগির মাথা ফোলা রোগের চিকিৎসা

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ