পটুয়াখালী (রাঙ্গাবালী) প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছ শিকার করতে মিঠা পানি সরিয়ে কৃষি জমিতে লবণ পানি প্রবেশ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকার বাসীর অভিযোগ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা-চরহালিম বেড়িবাঁধে নির্মিত স্লুইসগেট (জলকপাট) দিয়ে কৃষি জমিতে লবণ পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার নেতৃত্বে। এতে চলতি মৌসুমে আউশ আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

গত শনিবার (১৯ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, স্লুইসগেট দিয়ে লবণ পানি তোলায় ওই ইউনিয়নের চরগঙ্গা ও চরহালিম গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষি জমি তলিয়ে রয়েছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চরগঙ্গা ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার দস্তুর ও সাধারণ সম্পাদক বাদল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি চক্র স্লুইসগেট দিয়ে লবণ পানি উঠাচ্ছে।

এর ফলে গ্রামের প্রায় ২শ’ একর কৃষি জমিতে লবণ পানি প্রবেশ করায় চলতি মৌসুমে আউশ আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চরগঙ্গা গ্রামের কৃষক ইলিয়াস গাজী বলেন, কৃষকদের সুবিধার বদলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার দস্তুর আর বাদলসহ বেশ কয়েকজন নিজেদের সুবিধামত লবণ পানি উঠায়-নামায়।

তিনি জানান, লবণ পানির প্রভাবে অনেক বাড়ির হাঁস-মুরগি মারা যাচ্ছে। গবাদিপশু খাবার পাচ্ছে না। আমি আড়াই একর জমিতে আউশ বীজতলা করবো, কিন্তু ক্ষেতে লবণ পানি থাকায় করতে পারছি না। এবার মনেহয় কেউ আউশ দিতে পারবে না।

ওই গ্রামের আরেক কৃষক লোকমান প্যাদা বলেন, ‘স্লুইসগেট দিয়ে লবণ পানি উঠায়। সেই পানির সঙ্গে মাছ আসে। এই মাছ ধরে তারা বিক্রি করে। এটাই তাদের ব্যবসা। আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে হামলা-মামলার হুমকি দেয়।’ এ বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম আজাহার দস্তুর বলেন, ‘আমরা লবণ পানি উঠাই না। স্লুইসের চাবি আমার কাছে না। স্লুইসের ভাগ এখনও হয় নাই।’      

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: আবু জাফর এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মাছ ধরার জন্য কৃষি জমিতে লবণ পানি উঠায়। আমি তাদেরকে লবণ পানি উঠাতে নিষেধ করেছি।