নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জ্বর হলেই আমরা ঔষধ খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু জ্বর হলে প্রাথমিক অবস্থায় কি করা উচিত তা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলে দিয়েছেন। জ্বর হলে কি করবেন, ইসলাম কি বলে?

বোখারি শরীফের ৩০২৩ নং হাদীসে ইবনে ওমার (রা) নবী (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ। তোমরা একে পানি দিয়ে ঠান্ডা করো।

হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা) বলেছেন, জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে।সুতরাং পানি দিয়ে তোমরা তোমাদের জ্বর ঠান্ডা করো।( বোখারি ৩য় খন্ড, ৩০২২)

জ্বর হলে কি করবেন:

অধিকাংশ সময়েই এ ধরণের ভাইরাস জ্বর বা গরমে জ্বর আপনা আপনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এই জ্বর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর কমানোর জন্য তাই প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল বা এইস অথবা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়।

তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে।

যদি আপনার শিশুর জ্বর হয়:

বড়দের হয়তো জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই স্বস্তি মেলে। কিন্তু শিশুদের বেলায় জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবন করানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫/৭ দিনের মধ্যে শিশুর কাশি বা জ্বর না কমলে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বমি হয় বা পাতলা পায়খানা হয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, খিঁচুনি হয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।

আরোও পড়ুন: চর্মরোগ ও জ্বর নিরাময়ে লান্টানা

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ