ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ছাদ বাগানিরা সাধারণত নার্সারি থেকে গোবর মেশানো ভিটে মাটি সংগ্রহ করে তা গাছ রোপণের কাজে ব্যবহার করে। এতে অনেক সময় গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়।জেনে নিই টবের গাছ দ্রুত বৃদ্ধি ও বেশি ফলনের জন্য করণীয় দিক।

যেহেতু ফসলি জমির মতো ছাদ বাগানে লাগানো গাছের শিকড় ছড়ানোর সুযোগ কম, এ জন্য ভালো মানের পটিং মিডিয়া দিয়ে এবং এ নিচের অংশে পানি নিষ্কাশন ও সহজভাবে গাছের শিকড় ছড়ানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

ভালো মানের পটিং মিডিয়া যেভাবে সাজানো হবে:

ক. তলার প্রথম অংশ : তৃতীয় গ্রেডের ইটের কম দামি ছোট আকারের খোয়া/টুকরা দিয়ে ৩-৪ ইঞ্চি ভরাট করা;খ. তার ওপরের স্তরে ২-৩ ইঞ্চি পুরু করে কাঠ কয়লা দিয়ে এ দ্বিতীয় স্তর ভরাট করা;
গ. ৩য় স্তর ২-৩ ইঞ্চি পুরু করে নারিকেলের ছোবড়ার টুকরা অথবা নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে সাজানো;
ঘ. ৪র্থ স্তর ২-৩ ইঞ্চি পুরু মোটা বালু (সিলেট স্যান্ড) বা ক্ষুদ্র পাথর কুচি/ইটের চিপস দিয়ে ভরাট করা;

ঙ. শেষের বা ওপরের অংশ ২-২.৫ ফুট ভালো মানের পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করা হলে ছাদ বাগানের গাছের জন্য বেশি উপযোগী হবে।

আরোও পড়ুন: টবে মরিচ গাছ ঝোপালো করার সহজ কৌশল

আষাঢ়-শ্রাবণে আম গাছ লাগবেন যেভাবে

পটিং মিডিয়া তৈরির পদ্ধতি : বিদেশে প্রধানত পিটমস, পিটসয়েল ও জৈব পদার্থ (কম্পোস্ট) দিয়ে তৈরি রেডিমেড পটিং মিডিয়া বিভিন্ন স্থানীয় নার্সারিতে পাওয়া যায়। এমন কি কোন ধরনের গাছ রোপণ করা হবে তার জন্য ভিন্নতর মিডিয়া পাওয়া যায়। ভালো মানের মিডিয়া তৈরিতে এ দেশে যা পাওয়া যায় তার একটা আনুপাতিক হার নিম্নে দেয়া হলো :

ক. কোকোডাস্ট বা নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া – ২৫%
খ. মোটা বালু (সিলেট স্যান্ড) – ১০%
গ. ভিটে মাটি (যা নার্সারিতে পাওয়া যায়) – ২৫%
ঘ. আর্বজনা পচা/পচা গোবর – ৩০%
ঙ. তৃতীয় গ্রেডের ইটের ক্ষুদ্র চিপস/খোয়া – ১০%

এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে বক্স/টবের অবশিষ্ট অংশ ভরাট করে তাতে গাছ লাগানো হলে গাছ দ্রুত বাড়বে, বেশি ফলন পাওয়া যাবে। মিডিয়ার সাথে কিছু পরিমাণ করাত কলের গুঁড়া, ভার্মি কম্পোস্ট অথবা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কম্পোস্ট ব্যবহার করা এবং তার সাথে কিছু হাড়ের গুঁড়া ও খৈল মেশানো ভালো।

আরোও পড়ুন: ছাদ বাগানে টবের জন্য মাটি তৈরির সহজ কৌশল

টবে চায়না কমলা চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা কৌশল

টবের গাছ দ্রুত বৃদ্ধি ও বেশি ফলনের জন্য করণীয় দিক লেখাটি লিখেছেন এম. এনামুল হক সাবেক মহাপরিচালক, ডিএই এবং সদস্য বিশেষজ্ঞ পুল (APA), কৃষি মন্ত্রণালয়। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ