পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মুরগি বেশ কয়েকদিন ধরে শ্বাস কষ্টে ভোগে। গলায় ঘড় ঘড় শব্দ হয়। এরপর ডিম দেওয়া মুরগি হটাৎ মারা যায়। হটাৎ মারা যাওয়ার লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ জানা থাকলে অনেকটাই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ডিম দেওয়া মুরগি হটাৎ মারা যাওয়ার কারন ইনফেকসাস ল্যারিংগোট্র্যাকিয়াইটিস নামক রোগের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। এটি ভাইরাস জনিত একটি সংক্রামক ও মারাত্মক ছোঁয়াচে প্রকৃতির রোগ। সাধারণতঃ শ্বাসযন্ত্রই এ রোগে আক্রান্ত হয়।

ডিম দেওয়া মুরগি হটাৎ মারা যাওয়ার লক্ষণ: মুরগির শ্বাসযন্ত্রে ঘড় ঘড়, সাঁ সাঁ শব্দ ও কাশি এ রোগের প্রধান লক্ষণ। ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস, কফ ও হাঁচি হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। শ্বাস গ্রহণকালে মুরগির হাঁপানো ভাব হয় এবং বড় হা করে মাথা ও ঘাড় উপরের দিকে উঠাতে থাকে।

অপরদিকে শ্বাস ত্যাগকালে মুখ বন্ধ করে নীচের দিকে নামিয়ে দেয়। চোখ ভেজা থাকে। নাক দিয়ে রক্ত মিশ্রিত শ্লেষ্মা বের হয়। মাথার ঝুটি ও কানের লতি বেগুনী রংয়ের হয়। বেশী মারাত্মক হলে রোগ দেখা দেয়ার দু-একদিনের মধ্যেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মুরগি মারা যায়।

আরোও পড়ুন:মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

মুরগির পুলোরাম রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ:
আক্রান্ত মুরগিকে পৃথক করে রাখতে হবে। এ রোগ থেকে বেঁচে থাকা মোরগ-মুরগি ভাইরাসের বাহক হিসাবে কাজ করে। সুতরাং রোগ থেকে সেরে ওঠা মোরগ-মুরগি সুস্থ্য মোরগ-মুরগির সঙ্গে না রেখে আলাদা করে রাখতে হবে। মৃত মোরগ-মুরগিকে যেখানে সেখানে না ফেলে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। মোরগ-মুরগির খোঁয়াড়/খামারে মাঝে মাঝে জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটাতে হবে। মৃত মোরগ-মুরগি সরিয়ে নেয়ার পর জীবাণুনাশক ঔষধ দ্বারা ঘরের মেঝে পরিস্কার করতে হবে।

চিকিৎসাঃ
এ রোগের কার্যকরী কোন চিকিৎসা নাই। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমন রোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিম দেওয়া মুরগি হটাৎ মারা যাওয়ার লক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ সংবাদের তথ্য ই-লাইভস্টোক থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ