নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বর্তমানে রাজশাহীর বাজারগুলোতে ডিমের দাম না বেড়ে থমকে রয়েছে। আগামী মাস তিনেকের মধ্যে প্রতিকেজি মুরগির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পোল্ট্রি সংশ্লিষ্টরা।

মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মাংস উৎপাদনে ফিরেছেন খামারিরা, তবে তা খুব অল্প সংখ্যক। খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় কমে গেছে মুরগির খামার। হতাশ খামারিরা নতুন বাচ্চা খামারে না তুলে বন্ধ রেখেছেন।

রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানিয়েছেন, মুরগির দাম বাড়তি থাকায় মাংস উৎপাদনের দিকে যেমন, ব্রয়লার, সোনালি, কক এসব মুরগির বাচ্চা আবারো খামারে তুলতে শুরু করেছেন খামারিরা। আগামীতে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে তাতে খাদ্যের দামের সাথে মুরগির দামও বাড়বে।

আজ শনিবার ( ২৯ অক্টোবর ২০২২) রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার খুচরা ও পাইকারী দোকান ঘুরে দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। খামারি পর্যায়ে ১৫০-১৫৫ টাকা দাম হলেও তা খুচরা বাজারে এসে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের  আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

ডিম মুরগির দাম বাড়ার আসল কারণ!

খামারিদের সু-খবর, শীঘ্রই কমছে না ডিম-মুরগির দাম

সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পোল্ট্রি শিল্প

মুরগি দোকানদার মিঠু হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, পোল্ট্রি মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা দরে বেঁচা হচ্ছে। ব্রয়লারের আমদানী কমে গেছে। সোনালি মুরগির দাম বাড়ছে কারণ বাজারে সোনালি মুরগি একটু কম। সোনালি ২৯০ টাকা, কক মুরগি ২৮০ টাকা, হাঁস ৩৫০ টাকা, রাজহাঁস ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

একই বাজারের ফাহিম ডিম ভান্ডারের মালিক মাসুদরানা এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন,  ডিমের দামে খামারিরা কিছুটা লাভবান হচ্ছেন। খাবারের দাম বেশি থাকলে লাভ কিছুটা কম হয়। লাল ডিম পাইকারিতে হালি ৪৪ টাকা টাকা আর সাদা ডিম ৪২ টাকা দরে বিক্রি করছি।

রাজশাহীর পবা উপজেলার পোল্ট্রি খামারি ও উদ্যোক্তা মুজিবুর রহমান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, মূলত প্রান্তিক এক হাজার-দু-হাজার মুরগির খামারিরা ধ্বংশ হয়ে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে যেসব মুরগি ও ডিমের উৎপাদন হচ্ছে তা বাজারে আসলে দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে। গতমাসে মুরগিতে ১০ টাকা বেড়েছে, আবার শুনছি ১৫ টাকা কমবে। এমন উঠানামার মধ্যেই আছি। এক চালান দাম পেলে পরের চালানেই শেষ!

খাদ্যের দামে উৎপাদিত মুরগির ডিমের দাম তুলনামূলক ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪-৫ দফায় পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়ে এখন আকাশচুম্বী। ১৮’শ টাকার খাদ্যের বস্তা এখন ৩৪’শ টাকা। সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই।

জানতে চাইলে রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, রাজশাহীতে করোনায় ৮০ ভাগ খামার বন্ধ। মাঝখানে উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে গেলো, কারণ ভুট্টা, সয়াবিন মিল, প্রোটিনের দাম বেড়েছে। রেডি মুরগির দাম কমায় খামারিরা আরো বিপাকে পড়েছে। ডিম মুরগির দাম বাড়ছে আবার পাল্লা দিয়ে খাদ্যের দামও বাড়ছে। লাভের পরিমাণ কিন্তু আগের চেয়ে কমে গেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ