মৎস্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নয়াগোলা বুলনপুর এলাকায় আইপিআরএস (ইন পন্ড রেসওয়ে সিস্টেম এগ্রিকালচার) হাই-টেক পদ্ধতিতে চাষ করা মাছ যাবে ইউরোপের বাজারে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাই-টেক মৎস্য খামার।

চীনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ৬০ বিঘা আয়তনের জলাশয়ে মাছ চাষের সর্বাধুনিক আইপিআরএস পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্তমানে ১৩টি ইউনিট বা চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি চ্যানেলে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার পিস রুই, কাতল, গ্রাসকার্প, পাবদা, মনোসেক্স তেলাপিয়া, মিনার কার্প ও পাঙাশ মাছ চাষ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নয়াগোলা বুলনপুর এলাকায় আইপিআরএস পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন নবাব গ্রুপের স্বত্বাধিকারী আকবর হোসেন।এ পদ্ধতির আওতায় আরো জমি বাড়ানো হবে বলে জানান মৎস্য খামারের মালিক আকবর হোসেন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের শুরুতে চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞ টিম চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে প্রকল্পের সিভিল কাজের ডিজাইন করে দেন। আইপিআরএস পদ্ধতিতে জলাশয়ের পুরো জমিকে আরসিসি কাঠামো নির্মাণ করে নদীর মতো বৃত্তাকার চ্যানেল করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চ্যানেল ভর্তি পানিতে যান্ত্রিক উপায়ে স্রোত তৈরি করায় এখানে উৎপাদিত মাছের স্বাদ নদীর মাছের মতোই হবে। কারণ যান্ত্রিক উপায়ে পুকুরের যাবতীয় বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা থাকায় ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাসমুক্ত হওয়ায় মাছের রোগব্যাধি হবে না বললেই চলে।

এছাড়া কৃত্রিম উপায়ে পানিতে অক্সিজেন মিশ্রণের ব্যবস্থা থাকায় বেশি ঘনত্বে মাছ চাষ করা যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আইপিআরএস অ্যাকুয়াকালচার পদ্ধতির সর্বাধুনিক হাই-টেক মৎস্য খামারটি মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার প্রক্রিয়া চলছে।

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাই-টেক মৎস্য খামারে উৎপাদিত মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি মাছ যাবে ইউরোপের বাজারে। এ ধরনের আইপিআরএস প্রকল্প ভারতে তিনটি ও পাকিস্তানে চারটি রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ