নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হটাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বেকায়দায় পড়েছে সরকার। চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।

সরকার বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য আরও ৩২ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৬টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে।

আমদানি করা চালের মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ২০ হাজার টন এবং আতপ চাল ১২ হাজার টন। এর আগে, প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ নয় হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।

পড়তে পারেন: কমেছে ভারতীয় চালের দাম, দেশের বাজারে বাড়তি

এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) ইস্যুকৃত প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানির অনুমতি-সংক্রান্ত সম্মতিপত্র ইস্যুর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙাদানা বিশিষ্ট) নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পড়তে পারেন: চালের দাম বাড়াচ্ছে সিন্ডিকেট

আমদানির শর্তে বলা হয়, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইল ([email protected]) অবহিত করতে হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদেরকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে।

পড়তে পারেন: চালের বস্তায় বাড়লো ৩০০ টাকা, গরীবের মোটা চালেও আগুন

এতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না। বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে এ বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ