নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা জোরদার করতে হবে বলে বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

আজ সোমবার ২৭ জুলাই ২০২০ দুপুরে সচিবালয়স্থ দপ্তর কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২০ উপলক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর ও বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী সংক্রান্ত অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব একথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালকগণ সভায় অনলাইনে যোগদান করেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আরো বলেন, “মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পোনা অবমুক্তি কার্যক্রম গতবছরের তুলনায় দ্বিগুণ করার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। সরকারি হ্যাচারিগুলোতে বেশী বেশী পোনা উৎপাদন করতে হবে। যাতে বন্যা পরবর্তী সময়ে মৎস্যচাষীদের বিনামূল্যে মাছের পোনা সরবরাহ করা যায়। এছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন হ্যাচারি মালিকদের মাছের পোনা অবমুক্তকরণের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।”

সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় সপ্তাহ, ২০২০ এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এছাড়া সপ্তাহব্যাপী জেলা-উপজেলায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা, মৎস্য খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান, মৎস্য আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, চাষিদের মাঝে মৎস্যচাষের উপকরণ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
ধন্যবাদান্তে ও কৃতজ্ঞতায়

দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা জোরদার করতে হবে শিরোনামে সংবাদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন।

উল্লেখ্য, ‘মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে গত ২১ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২০ শুরু হয়। ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ এর উদ্বোধন করেন। মৎস্য সপ্তাহের প্রথম দিনে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল ও দর্শনীয় স্থানের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে মৎস্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের অবদান এবং অর্জন স্ক্রল ও টিভিসি আকারে প্রচার করা হয়। দ্বিতীয় দিনে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়।

তৃতীয় দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল পুকুরে ও ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পঞ্চম দিনে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদ ভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি ঢাকার ইডেন কলেজ পুকুরে এবং বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মোঃ রকিব হোসেন সাভারস্থ কেন্দ্রের জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। ষষ্ঠদিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের পার্ক পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। সমাপনী দিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ধানমন্ডি লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।