দেশী আলুর উন্নয়ন কৌশল

এগ্রিকেয়ার ডেস্ক: দেশে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে দেশী জাতের আলুর চাষ হয়, যা মোট আলু জমির প্রায় ৩২%৷ দেশী আলু জাতীয় মোট উৎপাদন প্রায় শতকরা ২২ ভাগ অবদান রাখে৷ আধুনিক জাত অপেক্ষা ফলন কম (হেক্টরপ্রতি গড়ে ৭.৮ টন) হওয়া সত্ত্বেও প্রধানত স্বাদ এবং সংরক্ষণ গুণাগুণের জন্য দেশী জাত আমাদের দেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে খুবই সমাদৃত৷ দেশী জাতের আলুর উত্ পাদন বৃদ্ধি পেলে দেশে সামগ্রিক আলুর উৎপাদন বেড়ে যাবে৷ উন্নত উৎপাদন কৌশল অবলম্বন করে দেশী আলুর নির্বাচিত জাত থেকে হেক্টরপ্রতি ২০-২৫ টন ফলন পাওয়া যেতে পারে৷

উৎপাদন পদ্ধতি :

  • আলুর জাত : লাল পাকড়ি, লাল শীল, চল্লিশা, শিল বিলাতী, দো হাজারী ইত্যাদি৷
  • নিরোগ গাছ থেকে মাঝারি আকারের বীজ সংগ্রহ করে হিমাগারে সংরক্ষণ করতে হয়৷
  • নির্বাচন করে উপযুক্ত জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে আলু লাগাতে হবে৷

বপনের সময় : কার্তিক মাসে (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) আলু লাগাতে হয়৷
বীজের হার : হেক্টরপ্রতি (মাঝারি আকারের আলু) ১ টন৷
বপন পদ্ধতি : সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেন্টিমিটার এবং গাছের দূরত্ব ২০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে৷ বীজ ৪-৫ সেমি মাটির গভীরে বপন করে ভেলি তৈরি করতে হবে৷

দেশি জাতের আলুতে সারের পরিমাণ :

সারের নাম  সারের পরিমাণ/হেক্টর    সারের পরিমাণ/শতাংশ
ইউরিয়া     ২২০ – ২৫০ কেজি    ঌ০০ গ্রাম – ১ কেজি
টিএসপি     ১৩০ – ১৫০ কেজি    ৫০০ – ৬০০ গ্রাম
এমপি     ২৩০ – ২৫০ কেজি    ঌ০০ গ্রাম – ১ কেজি
জিপসাম    ১১০ – ১৩০ কেজি     ৪৫০ – ৫৫০ গ্রাম
জিঙ্ক সালফেট     ১২ – ১৬ কেজি    ৫০ – ৬৫ গ্রাম
বরিক এসিড    ৫ – ৭ কেজি    ২০ – ৩০ গ্রাম

দেশি জাতের আলুতে সার প্রয়োগ পদ্ধতি : বপনের সময় অর্ধেক ইউরিয়া জমিতে প্রয়োগ করতে হবে৷ বপনের ৪০-৪৫ দিন পর বাকি অর্ধেক ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করে ভেলিতে মাটি উঠিয়ে জমিতে সেচ দিতে হবে৷ প্রয়োজনে ৩-৪ বার সেচ দিতে হবে৷ ইউরিয়া এবং এমপি সার উপরি প্রয়োগের পর সেচ দিয়ে কচুরীপানা অথবা খড়কুটা দিয়ে মালচ করে দিতে হবে৷

বিনা চাষে আলু উৎপাদন

বাংলাদেশের নিচু জমিতে বিনা চাষে আলু উৎপাদন করা যায়৷ এ পদ্ধতিতে বীজ আলু সামান্য ঢেকে অথবা মাটিতে ৬০ সেমি( ২৫ সেমি দূরত্বে রোপণ করতে হবে৷ রোপণের পর আলুর সারি কচুরীপানা অথবা খড় ১৭-২০ সেন্টিমিটার পুরু করে ঢেকে দিতে হয়৷ এতে মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকবে৷ এক্ষেত্রে কাটা আলু ব্যবহার করা নিরাপদ নয়৷ এভাবে আলু উত্ পাদনের তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না৷ এ পদ্ধতিতে আলু সাধারণত মাটির উপরই উৎপন্ন হয়৷ এ পদ্ধতিতে কার্ডিনাল, ডায়ামন্ট প্রভৃতি উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করতে হবে৷

সারের পরিমাণ : বিনা চাষে আলু উত্ পাদন করতে হলে জমিতে নিম্নরূপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে –

সারের নাম    সারের পরিমাণ/হেক্টর    সারের পরিমাণ/শতাংশ
ইউরিয়া     ৩২০ – ৩৪০ কেজি    ১৩০০-১৪০০ গ্রাম
টিএসপি     ১ঌ০ – ২২০ কেজি    ৭৭০-৮ঌ০ গ্রাম
এমপি     ২০ – ৩০ কেজি    ৮০-১২০ গ্রাম

সার প্রয়োগ পদ্ধতি : রোপণের সময় পূর্বে সার প্রয়োগ করতে হবে৷ বীজ আলু রোপণ করে সারির উভয় পার্শ্বে লাইন টেনে তাতে সার ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়৷ প্রচলিত পদ্ধতিতে আস্ত ছোট ছোট বীজ আলু ব্যবহার করা উত্তম৷

সতর্কতা :
১৷ জমিতে রস বেশি থাকলে বীজ আলু মাটির বেশি গভীরে রোপণ করা উচিত নয়৷
২৷ মালচিং ব্যবহার করার ফলে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হতে পারে৷ তাই যথাসময়ে ইঁদুর দমনের ব্যবস্থা করতে হবে৷

আলুর বীজ  উৎপাদন প্রযুক্তি

উন্নত মানের আলুর বীজ উৎপাদনের জন্য নিম্নরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় –
১৷ রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে৷
২৷ কার্তিক (মধ্য-অক্টোবর থেকে নভেম্বর) মাসে আগাম জাতের আলু লাগাতে হবে৷
৩৷ পাতা গজানোর পর থেকে আলু তোলার ১৫ দিন পূর্ব পর্যন্ত ৭-১০ দিন পর পর জাবপোকা দমনের জন্য  ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে৷ ডাইমেক্রন এবং অন্য অনুমোদিত  ওষুধ ১ মিলিমিটার ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে৷
৪৷ নিয়মিতভাবে ১ দিন পর পর রোগাক্রান্ত বা অস্বাভাবিক গাছ আলু তুলে ফেলতে হবে (রগিং)৷
৫৷ আলু তোলার ৭-১০ দিন পূর্বে মাটির উপরের গাছ উপড়ে বা কেটে ফেলতে হবে৷
৬৷ আলু ৭০-৮০ দিন বয়স হলে তুলে পরিপক্বতা দেখা উচিত৷
৭৷ মড়ক, জাব পোকা বা অন্য কোনো রোগ দেখা দিলে আরো আগে আলু তুলে ফেলতে হবে৷ লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতি ১০০টি আলুর পাতায় যেন ২০টির বেশি ডানাবিহীন জাবপোকা না থাকে৷
৮৷ জাব পোকার চূড়ান্ত আক্রমণের পূর্বেই গাছ কেটে ফেলতে হবে অর্থাৎ মাঘ মাসে (জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ)৷
ঌ৷ অন্যান্য আলু ফসল যেমন মরিচ, টমেটো, তামাক ইত্যাদি সোলানেসি গোত্রভুক্ত গাছ থেকে বীজ আলু ফসল অন্তত মিটার দূরে লাগাতে হবে৷

প্রকৃত বীজ দিয়ে আলু উৎপাদন

প্রকৃত বীজ দিয়ে আলু উৎপাদন বাংলাদেশের নতুন প্রযুক্তি৷ এ পদ্ধতিতে আলুর পরিবর্তে প্রকৃত বীজ ঘন করে লাগিয়ে অল্প জায়গা থেকে অনেক ছোট আলু উৎপাদন করা হয় যা পরবর্তী বছর বীজ আলু হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ বীজ আলু যেখানে হেক্টরপ্রতি ২ টন প্রয়োজন হয়, সেখানে ৫০ গ্রাম প্রকৃত বীজের উত্ পাদিত আলু দিয়ে দ্বিতীয় বছর সে পরিমাণ জমি আবাদ করা সম্ভব৷ আর রোপণ পদ্ধতিতে গেলে ১০০ গ্রাম বীজের চারা দিয়ে এক হেক্টর জমি রোপণ করা যায়৷

প্রকৃত বীজ লাগানোর পূর্বে ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে৷ মধ্য-কার্তিক (নভেম্বর) মাসে ১ মি( ১ মি করে ৪টি বেড কুপিয়ে মাটি শুকিয়ে নিতে হবে৷ তারপর বর্গমিটার প্রতি পচা শুকনা ১ ঝুড়ি গোবর বা মুরগির বিষ্ঠা, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টিএসপি এবং ১০০ গ্রাম এমপি সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে৷ তারপর ২৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে লাইন করে ৪ সেন্টিমিটার অন্তর ২-৩টি বীজ বপন করতে হবে৷ বীজের উপরে গোবর মিশানো মাটি হালকা করে  হাতের তালু দিয়ে একটু চেয়ে দিতে হবে যাতে পানি দেওয়ার সময় বীজ ভেসে না যায়৷ এর পরে ঝাজরা দিয়ে মাটি সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিতে হবে৷ উপরের মাটি যাতে শুকিয়ে না যায় সে জন্য সময় মত পানি দিতে হবে এবং বীজ গজানো পর্যন্ত শুকনা নারিকেল বা সুপারি পাতা চাটাই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে৷

বীজ গজানোর এক সপ্তাহ পরে প্রতি গর্তে ২টি করে চারা রেখে বাকিগুলো অন্যত্র লাগানো যেতে পারে৷ দুই সপ্তাহ পরে ১টি করে চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে৷ এক মাস পরে চারার গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে, সাথে কিছু ইউরিয়া দিতে হবে৷ গাছের ৪০-৪৫ দিন বয়সে ইউরিয়াসহ আরো একবার মাটি দিতে হবে৷ এর পর সময়মত পানি এবং ১০ দিন অন্তর কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে৷

আলু ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে উত্তোলন করা হয়৷ তবে রোপণ পদ্ধতিতে চারা রোপণের ঌ০ দিনের মধ্যেই আলু তোলা যায়৷ বীজ আলু উত্‌পাদন পদ্ধতিতে প্রকৃত বীজ লাগিয়ে বর্গমিটার প্রতি ৫ থেকে ৭ কেজি ছোট আলু পাওয়া যায়৷ এক কেজিতে গড়ে ১০০টি ছোট আলু থাকে৷ এ আলু  দ্বিতীয় বছর সাধারণ  আলুর মতো ৬০(২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে লাগিয়ে হেক্টরপ্রতি ২৫-৩০ টন খাবার আলু পাওয়া যায়৷ রোপণ পদ্ধতিতে প্রথম বছর ২০-২৫ টন খাবার আলু পাওয়া যায়৷ এ আলুর কিছু অংশ বীজ আলু হিসেবে পরের বছর ব্যবহার করা যায়৷

আলুর প্রকৃত বীজ (হাইব্রিড টিপিএস) উৎপাদন পদ্ধতি

বাংলাদেশে আলুর সঙ্কর বীজ উৎপাদন একটি নতুন প্রযুক্তি৷ সংকর বীজের উৎপাদন ক্ষমতা সাধারণ বীজ থেকে বেশি হওয়ায় এ বীজের চাহিদা বেশি৷ বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আলুর ফুল ও ফল উত্ পাদনের জন্য দিনের দৈর্ঘ্য অন্তত ১৬ ঘন্টা হওয়া প্রয়োজন৷ তাই হাইপ্রেশার সোডিয়াম লাইট ব্যবহার করতে হয়৷ ২৫০ ওয়াটের ৮টি ভাল্ব ৫ মিটার উপরে ঝুলিয়ে দিয়ে ১৬০০ বর্গমিটার জমিতে আলুর ফুল ও ফল উত্‌পাদন করা যায়৷ আলু লাগানোর ১৫ দিন পর বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আলো দিতে হবে৷

আলু লাগানোর জন্য এক মিটার চওড়া বেডে ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে ২ সারিতে ২০ সেন্টিমিটার অন্তর আলু রোপণ করতে হবে৷ প্রতি ১০০ বর্গমিটার জমির জন্য ২০০ কেজি স্ত্রী জাতের এবং ৫০ কেজি পুরুষ জাতের আলুর প্রয়োজন হয়৷ পুরুষ জাতের আলু ১৫ দিন পূর্বে লাগানো প্রয়োজন৷ গাছের ৩৫-৪০ দিন বয়সে ফুল আসা শুরু হয়৷ এ সময় পুরুষ গাছের ফুল তুলে রেণু সংগ্রহ করে ডেসিকেটরে সিলিকা জেলসহ রেখে দিতে হবে৷ স্ত্রী গাছের ফুল ফোটার আগের দিন ফুলেল গর্ভকেশর রেণুর ভিতর ডুবিয়ে দিতে হবে৷ প্রতি ফুলে ২-৩ বার বিকালে, পরের দিন সকালে এবং বিকালে রেণু প্রয়োগ করতে হবে৷ পরাগায়নের দেড় মাস পরে ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে তা শুকিয়ে ডেসিকেটরে রাখতে হবে৷

সাধারণত বাংলাদেশের অনেক এলাকাই সংকর বীজ উৎপাদন করা যায়৷ তবে যেখানে শীত কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং বাতাসে আদ্রতা কিছুটা বেশি থাকে, সে স্থান উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়৷

আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ

মৌসুমে আলুর দাম কম থাকে, সেজন্য কৃষক খাওয়ার আলু ও বিক্রির আলু ঘরে সংরক্ষণ করে থাকে৷ এ সময় যদি বেশ কিছু পরিমাণ আলু প্রক্রিয়াজাত করে রাখা যায় তাহলে পরে সে আলু গ্রামের গৃহবধূ ও মেয়েরা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে৷

১৷ আলুর সাধারণ চিপস বানানো
২৷ আলুর শুকনো চিপস বানানো

ঘরে আলুর সাধারণ চিপস বানানোর পদ্ধতি

•    রোগমুক্ত মাঝারি আকারের আলু ধুয়ে ছিলে নিতে হবে৷
•    ছিলা আলু পরিষ্কার পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে৷
•    এবারে আলু বটি অথবা ছুরির সাহায্যে আধা সুতা (১.৫ মিলিমিটার) পুরুত্বে গোল করে কেটে নিতে হবে৷
•    কাটা আলু লবণ পানিতে (১ লিটার পানিতে ১ চা চামচ লবণ) ১০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে৷
•    পানি ঝরে গেলে কাটা আলুর টুকরাসমূহ ফুটন্ত সয়াবিন তেলে ডুবিয়ে ভাজতে হবে৷ ভাজা হয়ে গেলে আলুর টুকরো ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে উঠাতে হবে৷
•    আলুর চিপস তেলমুক্ত করার জন্য পরিষ্কার কাগজ/টিসু  কাগজে কিছুক্ষণ রাখতে হবে৷ তারপর লবণ ছিটিয়ে পরিবেশেন করা যাবে৷
•    সংরক্ষণ করতে চাইলে বায়ুমুক্ত কাঁচের বয়ম অথবা পলিথিন প্যাকেটে ভরে মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে রাখতে হবে৷
•    এভাবে সংরক্ষিত আলুর চিপস ৪-৫ দিন ঘরে রেখে খাওয়া ও বিক্রি করা যায়৷

সহজ উপায়ে আলুর শুকনো চিপস বানানোর পদ্ধতি

•    রোগমুক্ত, মাঝারি আকারের আলু ভালো করে ধুয়ে ছিলে নিতে হবে৷
•    ছিলা আলু পরিষ্কার পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে৷
•    এবার আলু বটি বা ছুরি দিয়ে আধা সুতা (১.৫ মিলিমিটার) পরিমাণ মাপে গোল করে কেটে নিতে হবে৷
•    কাটা আলুগুলো লবণ পানিতে (১ লিটার পানিতে ১ চা চামচ লবণ) ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে৷
•    এবারে আলুর টুকরো পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে৷
•    এক হাড়ি পানি ফুটাতে হবে এবং ফুটন্ত পানিতে আলুর টুকরাগুলো ঢেলে দিয়ে ১-২ মিনিট সময় পর্যন্ত রেখে এ্যালুমিনিয়ামের ঝাঝরিতে ঢেলে রাখতে হবে৷
•    পানি ঝরে গেলে পরিষ্কার পাতলা কাপড় অথবা পুরানো মশারির নেটের উপর রেখে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে৷ এছাড়া কুলা, ডালা বা যেকোনো পরিষ্কার পাত্রে রেখে আলু শুকানো যেতে পারে৷
•    কড়া রোদে ২-৩ দিন আলুর টুকরা ভালোভাবে শুকাতে হবে৷
•    শুকানো আলু ঠাণ্ডা করে পলিথিন ব্যাগে রেখে বাতাসমুক্ত করে বা আগুনে পুড়িয়ে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে৷ এছাড়া আলু বায়ুমুক্ত টিন এবং বয়মেও রাখা যেতে পারে৷
•    খাওয়ার সময় বা বিক্রির সময় তেলে ভেজে লবণ ছিটিয়ে পরিবেশন বা বিক্রি করতে হবে৷
•    এভাবে  শুকানো আলু এক বছর পর্যন্ত রেখে খাওয়া ও বিক্রি করা যাবে৷