ডেইরি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলছেন একটি গাভী থেকে বছরে একটির বদলে দুটি বাছুর জন্ম দেয়ার প্রযুক্তিতে তারা সাফল্য পাওয়ার দাবি করছেন।

ইন্সটিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিজ্ঞানীরা আশা করছেন বাংলাদেশে ভালো মানের গাভীর দুটি করে বাচ্চার প্রকল্প মাঠপর্যায়ে সফল হলে সেটি গবাদিপশু এবং এর মাধ্যমে গণমানুষের জীবনমানের আরও উন্নতি করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: মা ইলিশ সংরক্ষণে উৎসাহিত করতে মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ড. গৌতম কুমার দেব বলেন, বাংলাদেশে এ প্রযুক্তিটি নতুন। প্রাথমিক সাফল্যের পর আমরা এটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। সফল হলে এটি নিঃসন্দেহে দেশের গরু সম্পদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিটির নাম ইনভিট্রো অ্যামব্রায়ো প্রডাকশন বা আইভিপি। তবে এটিকে কেউ কেউ আইভিএ-ও বলে থাকেন।

তিনি জানান, এতে বেশি দুধ দেয় এমন গাভী থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে নেয়া হয়। সেখানে ডিম্বাণুকে পরিপক্ব করে ফার্টিলাইজ করানো হয়। এর ফলে যে ভ্রূণের জন্ম হয় গবেষণাগারে সেখান থেকে দুটি করে ভ্রূণ ধাত্রী গাভীতে সংস্থাপন করা হয়। এরপর ওই গাভীটি গর্ভধারণ করলেই দুটি করে বাচ্চা বাড়তে থাকবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সফল হওয়ায় আমরা এখন ভালো মানের এনিমেল বাছাই করছি এবং এসব লাইভ এনিমেল থেকে ডিম্বাণু কালেকশনের কাজ করা হবে। আমরা আশা করছি মাঠ পর্যায়ে এটি সফল হবে এবং পরে তা আমরা ছড়িয়ে দিতে পারব।

আরও পড়ুন: এই সময় যেভাবে গবাদি পশু-পাখির যত্ন নিবেন

তিনি বলছেন, একটি সুস্থ ও ভালো মানের গাভীর ডিম্বাণু দিয়ে অনেকগুলো গাভীর গর্ভধারণ করানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় বলা হয়েছে যে দেশে গরুর সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। গবাদিপশুর বৈশ্বিক সুচকে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত বছর গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল-সব মিলিয়ে গবাদিপশু উৎপাদন বাংলাদেশ তখন বিশ্বে বারোতম অবস্থানে ছিল।

দেশে নতুন প্রযুক্তিতে যেভাবে জমজ বাছুর জন্ম দেবে গাভী শিরোনামে সংবাদের তথ্য দেশ রুপান্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি