অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত আগস্ট মাসের পুরোটাই পাম ওয়েল আমদানি করেছে ভারত। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এই পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা রয়টার্সকে জানিয়েছে। যা ১১ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছাল আমদানি।

আমদানি বাড়ার কারণ হিসেবে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের ওপর পরিচালিত জরিপের তথ্য বলছে, দর সংশোধনের কারণে পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যটি ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে ভারতে পাম অয়েল আমদানি ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে দেশটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করেছে।

ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক। দেশটি আমদানি বাড়ানোয় আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ উৎপাদন ইন্দোনেশিয়ার বৃহৎ আকারের মজুদ কমাতেও সহায়তা করছে এ আমদানি।

পড়তে পারেন: ২০ লাখ টন পাম ওয়েল মজুদ মালয়েশিয়ার

শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল ব্রোকার সানবিন গ্রুপের নির্বাহী প্রধান সন্দীপ বাজোরিয়া বলেন, সফট অয়েলগুলোর তুলনায় পাম অয়েল বর্তমানে অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থানে আছে। গত মাসে পণ্যগুলোর মধ্যে দামের ব্যবধানও বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়।

ডিলাররা বলছেন, বর্তমানে সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে ভারতের বাজারে অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ১ হাজার ১১ ডলার মূল্যে (ব্যয়, বীমা ও জাহাজ ভাড়াসহ)। অথচ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ১ হাজার ৪৪৩ ডলারে।

মুম্বাইভিত্তিক বাণিজ্য সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্রাক্টর্স অব ইন্ডিয়া চলতি মাসের মাঝামাঝিতে গত মাসের আমদানি তথ্য প্রকাশ করবে।

পড়তে পারেন: সয়াবিনে নজর, পাম ওয়েল আমদানি কমেছে ভারতের

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্দোনেশিয়া অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত রফতানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে পণ্যটির দাম বর্তমানে নিম্নমুখী। এপ্রিল ও মে মাসে নিষেধাজ্ঞার কারণে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি বন্ধ ছিল। ফলে দেশটিতে পণ্যটির মজুদ ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে ভারত আমদানি বাড়ানোয় মজুদ কমছে।

ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল অ্যাসোসিশেয়নের তথ্য বলছে, জুনের শেষ নাগাদ দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ ছিল ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টন। গত বছরের একই সময় মজুদের পরিমাণ ছিল ৪০ লাখ টন।

পড়তে পারেন: ৫ বছরের সর্বনিন্মে রিঙ্গিতের মান, ঘুরে দাঁড়াতে পারে পাম ওয়েল

সন্দীপ বাজোরিয়া বলছেন, শুধু গত মাসেই নয়, চলতি মাসেও ভারত বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল আমদানি করছে। এ মাসেও আমদানি ১০ লাখ টনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করবে।

এদিকে গত মাসে ভারত ২ লাখ ৪০ হাজার টন সয়াবিন তেল এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করেছে। ভারত মূলত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকেই পাম অয়েল আমদানি করে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হয় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ