আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষে থাকা পাম অয়েল উৎপাদনকারী নাইজেরিয়ার ৪ লাখ টন তেল আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস।

আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল উৎপাদন হয় নাইজেরিয়ায়। এ ধারাবাহিকতায় নাইজেরিয়ার আমদানিকারকরা চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চার লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করতে পারে বলে ইউএসডি ‘র এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। নাইজেরিয়ার ৪ লাখ টন তেল আমদানির বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে খবর এগ্রিমানি ও স্টার অনলাইন।

ইউএসডিএর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে নাইজেরিয়ায় সব মিলিয়ে চার লাখ টন পাম অয়েল আমদানি হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে নাইজেরিয়ার বাজারে আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি হয়েছিল।

আরোও পড়ুন: ভারতে পাম অয়েল রফতানিতে ধস

সেই হিসাবে চলতি বছর দেশটির বাজারে পাম অয়েল রফতানি বাড়তে পারে ৫০ হাজার টন। এর আগে নাইজেরিয়ার ইতিহাসে ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল আমদানি হয়েছিল। ওই বছর দেশটিতে পণ্যটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ১৮ হাজার টন।

ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নাইজেরিয়ায় সব মিলিয়ে ১০ লাখ ১৫ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৯৮ শতাংশ কম। গত বছরও দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদন অপরিবর্তিত ছিল। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও নাইজেরিয়ায় একই পরিমাণ পাম অয়েল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ