নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদনে আগের

পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদনে আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ এখন পোল্ট্রি শিল্প বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখার সাবেক সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি, ২০২০) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও ‘মুজিব বর্ষ’কে স্মরণীয় করে রাখতে ‘আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এর উদ্যোগে আগামী মাচের্র ১৯ তারিখে সারাদেশে উদযাপিত হবে দিবসটি।

দেশের প্রতিটি মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবান ও মেধাবি জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাঙালী জাতিকে সম্মানজনক অবস্থানে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের পক্ষ থেকে নতুন এ কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, পুষ্টি সূচকে বাংলাদেশ পূর্বের চেয়ে যথেষ্ঠ অগ্রগতি অর্জন করলেও অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা এখনও নিতান্তই কম নয়।

তিনি বলেন, অপুষ্টির কারণে মানুষ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, কম ওজনের শিশুর জন্ম হচ্ছে, শিশুরা খর্বাকৃতির হচ্ছে, রক্ত-স্বল্পতা, অকাল বার্ধক্য, অকালে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও ঘটছে।

সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হচ্ছে অপুষ্টি’র প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। আর সবচেয়ে ভরসার বিষয়টি হচ্ছে- একটু সচেতন হলে খুব সহজেই এ অপুষ্টির অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি এবং সেজন্য অনেক বেশি টাকা খরচেরও প্রয়োজন পড়েনা। পোল্ট্রি আমাদের জন্য সে সুবিধাটিই এনে দিয়েছে।

নিরাপদ পোল্ট্রি উৎপাদনে আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ এখন পোল্ট্রি শিল্প উল্লেখ করে দেশের পোল্ট্রি শিল্পের অন্যতম বড় এ উদ্যোক্তা বলেন, এন্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যৌথ উদ্যোগে তৃণমূল খামারিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে, এমনকি দেশের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দেশে এনে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে নিরাপদ পোল্ট্রির ডিম ও মাংস উৎপাদনে অনেকখানি এগিয়েছে তার প্রমাণ হচ্ছে- এন্টিবায়োটিক নয় বরং প্রোবায়োটিক, প্রিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে পোল্ট্রি শিল্পে।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে দেশীয় ফিড ইন্ডাষ্ট্রিতে প্রায় ৩০০০ মে.টন এজিপি অলটারনেটিভ এডিটিভস (অঅঅ) আমদানি হয়েছিল যার মূল্য প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা। প্রায় ৩৪ লাখ মে.টন ফিড এ পরিমান অঅঅ দিয়ে তৈরি করা যায়- যা ছিল ২০১৭ সালে উৎপাদিত ফিডের প্রায় ৮০ শতাংশ।

খামারিদের এ সচেতনতার কারণেই ব্রয়লার মুরগির মাংস এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও নিরাপদ জানান তিনি।

আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষ’কে স্মরণীয় রাখতে পোল্ট্রি শিল্প উদযাপন করবে ‘পোল্ট্রি দিবস’