নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে পাখি রক্ষায় তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা বাগান ভাড়া/ইজারা বাবদ অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন। বাউসা গ্রামের মঞ্জুর রহমান মুকুল, সানার উদ্দিন, সাহাদত হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও ফারুক আনোয়ার পাবেন।

কয়েক বছর থেকে অতিথি শামুকখোল পাখি আসায় আম বাগানের ক্ষতি হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখির বাসার জন্য আমচাষিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই বরাদ্দ দেয়।

গতকাল শনিবার (২১ নভেম্বর ২০২০) সকালে এই আমবাগান পরিদর্শন করে পাখির অবস্থা দেখতে আসেন বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জিল্লুর রহমান, রাজশাহী সামাজিক বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মেহেদী হাসান, বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাহাত হোসেন, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার হেলিম রায়হান ও বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর।

এ সময় তারা বাগান মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বাগান মালিক মঞ্জুর রহমান মুকুল, সানার আলী, সাহাদত হোসেন, শফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম নান্টু, খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে অতিথি পাখি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাহাদত হোসেন কমিটির সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তারা জানান, অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমবাগানের মালিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা দেওয়া হবে। অপরদিকে বাগানে পাখি বসার কারণে আম উৎপাদন হয় না। গতবছর লোকসান হওয়ায় এবার তারা শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন আম চাষিরা।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, গত বছর বাগানে গিয়ে জরিপ করে ৩৮টি আমগাছে পাখিরা বাসা দেখতে পান। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা পরে গাছগুলোর আমের সম্ভাব্য দাম ও পরিচর্যার ব্যয় নিরূপণ করেন। গাছের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি হতে পারে।

স্থায়ী অভয়ারণ্য করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি এই কর্মকর্তা জানান, স্থায়ীভাবে পাখিদের অভয়ারণ্য করতে অন্তত ১০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ দরকার। সেজন্য ৩৮টি আমগাছের জন্য দুই কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন। দুই ধরনের প্রস্তাবই কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার থেকে বরাদ্দ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ