ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পুঁই এক প্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পুঁই গাছের পাতা ও ডাঁটি শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচরাচর একে পুঁই শাক হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
পুষ্টিগুণ: পুঁই শাকে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ও এ। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রনের মতো উপাদানগুলো। এছাড়াও রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এই সব খনিজ পদার্থ।
ভেষজ গুণ: পুঁই শাক পুষ্টিকারক ও তৃপ্তিকারক। পাতাসহ সমগ্র গাছ ভেষজ গুণাবলী সম্পন্ন। পাতা মূত্রকারক। গনোরিয়া রোগে এটি উপকারী। অর্শ রোগে অতিরিক্ত স্রাব, অতিসার প্রভৃতিতে অন্যান্য উপদানের সঙ্গে পুঁই শাকের ব্যবহার আছে। পুঁই শাকের পাতার রস ছোটদের সর্দি, কোষ্ঠবদ্ধতা প্রভৃতিতে উপকার দেয়। পুঁই শাকের রস মাখলে গোদে আরাম হয়।
আরও পড়ুন: রসুনের ভেষজ গুণ ও উপকারিতা
উপকারিতা:
ক্যান্সার প্রতিরোধ: পুঁই শাকে রয়েছে ক্লোরোফিল। এটি ক্যান্সারের জন্য দায়ী কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকাতে খুব ভালো কাজ দেয়। এতে থাকে ফাইবার যা ফাইবার পাকস্থলী আর কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: পটাসিয়ামের ভালো উৎস পুঁই শাক। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম দেহের সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই নিয়মিত পুঁই শাক খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ডায়াবেটিস কমানো: পুঁই শাকে রয়েছে লিপোইক অ্যাসিড নামে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি আর অটোনমিক নিউরোপ্যাথি কমায়। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন তবে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এ শাক।
হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি: পুঁই শাক হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে দেয় না। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। বদহজম থেকেও মুক্তি মেলায় পুঁই শাক।
হাড় গঠন: এই শাকে রয়েছে ভিটামিন কে যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। ভিটামিন কে হাড়ের মেট্রিক্স প্রোটিন উন্নত করে। ক্যালসিয়াম ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ইউরিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও কম করে। তাই হাড়ের শক্তি বাড়াতে পুঁই শাক খান।
আরও পড়ুন: ঢেঁড়শের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ত্বকের সুরক্ষা: পুঁই শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, যা আমাদের ত্বকের আর স্ক্যাল্পের তেল নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। ময়েশ্চার ধরে রাখে। ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হলে ব্রণ হয়। পুঁই শাক তা কমায় ফলে ব্রণ হওয়ার হারও কমে।
পুঁই শাকের ভেষজ গুণ ও উপকারিতা শিরোনামে লেখাটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এগ্রিকেয়ার / এমবি
