পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেস ডিসট্রিক্ট’রে

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেস ডিসট্রিক্ট (সিবিডি) এ নির্মীতব্য বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার এর কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার এর কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, গণপূর্তের প্রধান আর্কিটেক্ট, চীফ ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রকল্প পরিচালক তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

পূর্বাচলের ১৯ নম্বর সেক্টরের ১১১ নম্বর রোডের পাশে প্রল্পের অস্থায়ী সেডে, প্রতিমন্ত্রী সংশিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন। সিবিডিতে নির্মিতব্য আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে আমাদের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে ৫২ তলা ভবন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ৭১ তলা ভবন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ল্যাগেসি স্মরণে ৯৬ তলায় মিউজিয়ামসহ গড়ে উঠবে দেশের বৃহত্তম ১১১ তলা ভবন।

আইকনিক এই তিনটি ভবনের পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠবে ৪০ তলার আরও ৪৯টি ভবন। প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই প্রকল্পে ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগের সংস্থান করা হয়েছে বলে প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রথম দুই বছরেই প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করা হবে, যা দেশের অর্থনীতি ও নির্মাণ শিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেজ ডিসট্রিক্ট নামে রাজউকের আইকনিক টাওয়ারের নির্মাণ কাজটি করার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন- জাপান যৌথভাবে নির্বাচিত হয়। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের মাটি পরীক্ষা, যানবাহন ব্যাবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমীক্ষা প্রতিবেদন রাজউকে জমা দেয়া হয়েছে।

প্রকল্পের খসড়া মাস্টার প্ল্যান ও ডিজাইন রাজউক এ জমা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্মার্ট ও নান্দনিক আইকনিক টাওয়ারের এই ডিজাইনের জন্য রাজউক আন্তর্জাতিক একটি পুরস্কার অর্জন করে। পরিবেশ বান্ধব এই ভবনসমূহের সারা দেয়ালজুড়ে লাগানো হবে বিশ্বের সর্বাধুনিক সোলার গ্লাস।

আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বিভিন্ন ইউটিলিটির জন্য করা হবে কমন ডাক্ট ব্যাবস্থা। গ্রীন ভবন সমূহের বাউন্ডারি দেয়ালে চীনের গ্রেট ওয়ালের আদলে গড়ে তোলা হবে ওয়াক ওয়ে! সেই সাথে অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য পরিবেশবান্ধব ইলেক্রটিক বাস এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াক ওয়েও থাকবে।

এই ঐতিহাসিক টাওয়ারের স্থপতি হিসেবে কাজ করছে পৃথিবী বিখ্যাত হেরিম আর্কিটেক্ট। হেরিম পৃথিবীর সেরা সাতটি’র একটি এবং কোরিয়ার শ্রেষ্ঠ আর্কিটেকচারাল  প্রতিষ্ঠান।

প্রতিমন্ত্রীর সাইট ভিজিট অনুষ্ঠানে পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস ও শিকদার গ্রুপ ছাড়াও এই কাজের সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হেরিম, প্পিডাব্লিউসি, আর্কেটাইপ, নর, চায়না পাওয়ার, চায়না এনার্জি, এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটা সত্যিই গর্বের এই আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে আমাদের ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেগেসি।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই কাজটিকে এগিয়ে নিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা প্রস্তাবিত সময়সীমার আগেই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আমি আশা করবো, ২০২০ এ মূল কাজ শুরু করে ২০২৪ এর মধ্যে যেন দৃশ্যমান অগ্রগতি যেন হয় সে ব্যাপারে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার এবং রাজউক চেয়ারম্যান সৈয়দ নূর আলম।