ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পোল্ট্রি খাবারের দ্রুত ও নিশ্চিত মান নিয়ন্ত্রণ চট্টগ্রামে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে “মাল্টিফেস্টেড-ইউনিক সেইফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এসেস্‌মেন্ট ল্যাব লি. (মুস‌কাল)।” বেসরকারী উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণাগারটি গবাদিপশু ও হাঁসমুরগির খাদ্য, সম্পূরক খাদ্য উপাদানের মান নিয়ন্ত্রণ করবে।

আরও পড়ুন: শীতে পোল্ট্রি খামারিদের করণীয় (পর্ব ১)

সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিকমাত্রায় আমদানীনির্ভর খাদ্য ও সম্পূরক খাদ্য উপাদান এবং বিভিন্ন বায়োহ্যাজার্ড এর কারণে এ শিল্প আজ অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে। বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনুযায়ী আমদানীকৃত পণ্য ক্ষতিকারক অ্যান্টিবায়োটিকসহ ক্লোরামেফনিকল ও নাইট্রোফিউরান মুক্ত কি না তা জানা আবশ্যক।

তারা জানান, বর্তমানে পোল্ট্রি রিসার্চ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (পিআরটিসি) হরমোন ও স্টেরয়েড শনাক্তকরণ ছাড়া উল্লেখিত পরীক্ষা করে থাকে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে অধিকাংশ আমদানীকারককে ২-৩ সপ্তাহের বেশি সময় শুধু এসব খাবার পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

মুসকাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক মানের স্বয়ংসম্পূর্ণ গবেষণাগারে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তাদের স্থাপিত যন্ত্র কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যাশ ইত্যাদি নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে পারে। যার ফলে আমদানীকারক অতিদ্রুত তাদের পণ্য খালাস করতে পারবে।

‘মুস‌কাল’ জানায়, তারা উন্নত মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে পোল্ট্রি শিল্প তথা দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে চায়। এ লক্ষে বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বন্দরের নিকটে গবেষণাগারটি প্রতিষ্ঠা করে।

আরও পড়ুন: শনিবার (১৭ অক্টোবর) পোল্ট্রির ডিম, মুরগি ও বাচ্চার পাইকারি দাম

আমদানীকৃত পণ্যের গুনগত মান যাচাইয়ে প্রতিষ্ঠিত স্বয়ংসম্পূর্ণ এ ল্যাবটি বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছে এবং অতিদ্রুতই ল্যাবের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।

পোল্ট্রি খাবারের দ্রুত ও নিশ্চিত মান নিয়ন্ত্রণ করবে মুসকাল শিরোনামে সংবাদের তথ্য দেশ রুপান্তর থেকে  সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি