পোল্ট্রি শিল্পের সংশ্লিষ্টদের রাতারাতি

পোল্ট্রি শিল্প ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পোল্ট্রি শিল্পের সংশ্লিষ্টদের রাতারাতি বড় হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

তিনি বলেছেন, মানুষের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু আপনারা করবেন না। লাভ করেন, কিন্তু রাতারাতি বড় হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে আসুন।



বুধবার (১৩ নভেম্বর, ২০১৯) প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স ও এনওসি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলো প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও বীজ বিস্তার বিস্তার ফাউন্ডেশন। এ সময় ‘সফটওয়্যার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অংশীজনের নিবন্ধন পদ্ধতি আধুনিকায়ন শীর্ষক’ কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, যেগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কাজ থেকে পোলট্রি ব্যবসায়ীদের বিরত থাকতে হবে।

ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় ডিজিটালাইজেশন নিয়ে মানুষ বিদ্রূপ করত। এখন আর কেউ বলে না। যুব সমাজ ঠিকই লুফে নিয়েছে।

নতুন এই ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ের পোলট্রি শিল্পে জড়িত সবাই কারখানার জন্য আবেদন, লাইসেন্স ও আমদানি করার অনুমতি পত্র পাবেন।

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের (বর্তমানে সাবেক, অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে দায়িত্বরত) মহাপরিচালক ডা. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিকের সভাপতিত্বে এই প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ফলাফল বিষয়ে উপস্থাপন করেন বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের সেবা ও কারিগরি বিভিন্ন দিক নিয়ে উপস্থাপনা করেন বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরামর্শক এ এইচ এম তাছলিমা আক্তার।

কর্মশালায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা এ উপস্থিত ছিলেন।

পোল্ট্রি শিল্পের সংশ্লিষ্টদের রাতারাতি বড় হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান সংবাদটি তৈরিতে প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পোল্ট্রি খামারিদের ব্যাংক ঋণ মিলছে না, গুনতে হচ্ছে এনজিও-মহাজনের চড়া সুদ