নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) এর বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলো পুণরায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’র মাধ্যমে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক।

আজ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন (বিটিএমসি) ভবনে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সরকারের বিটিএমসি’র টেক্সটাইল মিলগুলো সরকারি সহায়তায় কিংবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’র মাধ্যমে চালু করে টেক্সটাইল পল্লি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

যার মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। দেশের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বিগত জোট সরকারের সময়ে দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি ছিলো কিন্তু এখন বিদ্যুতের কোনো অভাব নেই। ‍

অর্থাৎ নতুন শিল্পাঞ্চল চালু করতে হলে যে বিদ্যুতের দরকার দেশে তার কোন ঘাটতি নাই। সর্বোপরি বন্ধ মিলগুলো পুনরায় চালু করে শিল্পায়নের ধারাকে তরান্বিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অব্যবহৃত কোনো জমি ফেলে রাখা চলবে না। যতো বেশি জমি ব্যবহৃত হবে দেশ ততো  উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। সুতরাং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি জানান, গার্মেন্টস খাত অনেক এগিয়ে গেছে। সামনে আরও এগিয়ে যাবে। এছাড়া পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টশিপ) মাধ্যমে নতুন টেক্সটাইলগুলো কিভাবে আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার ব্যবস্থা করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতা দরকার।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশের উন্নতিকে ভঙ্গুর করে দেয়। সবার মনে রাখতে হবে,দুর্নীতি সমাজকে নষ্ট করে দেয়। কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। যারা দুর্নীতি করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। তাই যারা দুর্নীতিবাজ তাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, দুর্নীতির স্থান নেই। কাজ করতে হবে দেশের জন্য,উন্নয়নের জন্য।

উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত বিটিএমসির ১৬টি মিলকে পিপিপি’র মাধ্যমে চালু করার জন্য তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২টি মিল পিপিপি এর মাধ্যমে চালু করার প্রকৃয়া চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি মিলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো.মিজানুর রহমান,বিটিএমসির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ প্রমুখ।