চাষ ব্যবস্থাপনা ও করণীয় ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কুল বা বরই দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল প্রচলিত কন্টকাপূর্ণ গাছের ফল। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, সর্বপ্রকার মাটিতেই বরই গাছ জন্মে। বরই চাষে সফলতা পেতে হলে উন্নত জাত নির্বাচন করতে হবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বরই চাষে সফলতা পেতে যেসব জাত নির্বাচন করা জরুরি:

জাত নির্বাচন:
বারি কুল-১: এটি নারিকেলী জাত নামে পরিচিত। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষত রাজশাহী ও খুলনা এলাকায় চাষাবাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত জাত। ফল আকারে বড়, ওজন গড়ে ২৩ গ্রাম ও লম্বা।

বারি কুল-২: জাতটি উত্তারাঞ্চলে চাষাবাদের জন্য ভাল হলেও দেশের অন্যত্রও চাষ করা যায়। ফল আকারে বড় ও ডিম্বাকৃতি।

আরও পড়ুন: বরই এর ভেষজ গুণ ও উপকারিতা

বারি কুল-৩: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর আবিষ্কার করে। এটি উন্নত জাত। দেখতে ফল বড়, গোলাকার, হলুদাভ সবুজ রং হয়, রসালো ও মিষ্টি। সারাদেশে চাষাবাদের উপযোগী। ব্রিক্স মান ১৪%। শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৮৮ – ১০০, হেক্টর প্রতি ফলন (টন) : ২২-২৫।

বাউকুল-১: ফল আকারে অনেক বড় হয় (গড়ে ৯০ গ্রাম)। মিষ্টতার পরিমানও অনেক বেশি। আগাম পরিপক্ক হয়। সারা দেশেই চাষ করা যায়।

বাউ কুল-২:  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর আবিষ্কার করে। এটি উন্নত জাত। দেখতে ফল বড়, ডিম্বাকার, হলুদ রং হয়। সংরক্ষণ ক্ষমতা ভাল। ব্রিক্স মান ২২-২৪%। শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৮০ – ১০০, হেক্টর প্রতি ফলন (টন) : ২০-২৫।

আরও পড়ুন: কুল গাছের ফল ছিদ্রকারী উইভিল পোকা দমনে যা করবেন

আপেল কুল: আপেল কুল বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোফাজ্জল হোসেন কর্তৃক উদ্ভাবিত এবং জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে অনুমোদিত। আপেল এর মতো রঙ হওয়ার জন্যে কুলটির নাম দেওয়া হয়েছে আপেল কুল। মিষ্টি স্বাদের জন্য অন্য কুলের চেয়ে এটি অনেক ভালো।

বরই চাষে সফলতা পেতে যেসব জাত নির্বাচন করবেন লেখাটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি