বাংলাদেশের ফ্রুট ফ্লাই কিটমুক্ত

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাংলাদেশের ফ্রুট ফ্লাই কিটমুক্ত আম আমদানিতে আগ্রহ জাপানের রয়েছে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো। এছাড়া কৃষিখাতে নির্দিষ্ট কৃষিকাজে দক্ষ জনবল নেয়ার কথা জানান তিনি।

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে এক সাক্ষাত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা জানান। রোববার (২৯ ডিসেম্বর ২০১৯) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য আম সম্পুর্ণ নিরাপদ।

তিনি বলেন, আপনার দেশের যারা আম আমদানি করবে তাদের বাংলাদেশে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাই। তারা কী ধরণের আম নিতে চান আমরা সেভাবেই উৎপাদন করে নিরাপদ আম দিতে সক্ষম আছি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় হতে এ নিশ্চিয়তা দেয়া হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ হতে মিষ্টি আলু, মুগডাল আমদানিরও প্রস্তাব দেন কৃষিসচিব।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। একটি আদর্শ শিল্পপ্রতিষ্ঠান করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করবে সরকার।

কৃষিমন্ত্রী জানান, জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিবিড় করেছে। দেশের সকল সার কারখানায় জাপানের সহযোগিতা রয়েছে।

জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুর্দিনে যেসব দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে জাপানের স্থান সবার ওপরে। বাংলাদেশের জনগণ জাপানের সরকার ও জনগণকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সবসময়।

তিনি জানান, কৃষিবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে ডিএপি সারের মূল্য হ্রাস করেছে।

বাণিজ্যিক ফুল চাষের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে যশোর জেলায় কৃষিমন্ত্রণালয় অধিন চাষকৃত ফুলবাগান পরিদর্শনের আহবান জানালে জাপানের রাষ্ট্রদূত তাতে সম্মতি জানান।

জাপানের রাষ্ট্রদূত হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

সাক্ষাত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সরকারি কোষাগার থেকে আসবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর বাকী অর্থ আসবে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে। এছাড়া ১৯৭৩ সালে কৃষিখাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম কাজ করে জাইকা।

বাংলাদেশের কৃষির নানা বিষয় তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি জানান, কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যতে খাদ্য ঘাটতির দেশটি আজ খাদ্য রপ্তানীর মর্যাদা অর্জন করেছে।

আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকিকরণ ও বহুমুখীকরণ করা হবে। কৃষি, পোল্ট্রি এবং ডেইরিতে বাণিজ্যিকিকরনে যেতে চায় বাংলাদেশ। এসব খাতে জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতে করে রপ্তানীর করা হবে এ নিয়ে কাজ চলছে।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে পাশে থাকা জাপান এবার কৃষি উন্নয়নেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। এটি জাপান বাংলাদেশের বন্ধুত্বের নির্দেশন।

 বাংলাদেশের ফ্রুট ফ্লাই কিটমুক্ত আম আমদানিতে আগ্রহ জাপানের সংবাদটির তথ্য কৃষিমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সবজি, ফলসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিতে আগ্রহ কাতারের