অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাজার সয়লাব দেশীয় পেঁয়াজে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কমেছে আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। সেইসাথে কমেছে দাম।

তবে আমদানি অব্যাহত থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে তিন টাকা কমেছে। এদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগেও বন্দর দিয়ে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১ থেকে ২২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা কমে ১৮ থেকে ১৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৩৯টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৫ থেকে ৩৬টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: বিদেশীর কাছে ধরা দেশি পণ্য, রসুনের কেজি ৫ টাকা!

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বলেন, পাবনা মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবারে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে সেসব এলাকার ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠার ফলে দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশীয় পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে ১৮-১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে আগে যেখানে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা ছিল, এখন সেসব মোকামে দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে।

এতে দেশের বাজারে আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে এসেছে। এর পরেও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে।

পড়তে পারেন: চাল, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কমেছে তেল, আদার

তবে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমের কারণে লোকসান গোনায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরেও পেঁয়াজের ক্রেতা না থাকায় ও দাম কমের কারণে আমদানি হওয়া অনেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে ছাড় করে গুদামে নিয়ে রাখছেন।

স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমে ৩-৫ ট্রাকে নেমেছিল, এখন তা কিছুটা বেড়ে ৮ থেকে ১০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। বুধবার বন্দর দিয়ে আট ট্রাকে ২৩১ টন পেঁয়াজ এসেছে। আর বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১০ ট্রাকে ২৬৮টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ