আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চিনির বাজার কয়েক মাসে সেঞ্চুরি পার করেছে। এ বাড়তি দামের সময়ে এসেছে নতুন মৌসুম। আর ভারতে নতুন বিপণন মৌসুমের প্রথম দেড় মাসেই চিনি উৎপাদন গত মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।

ইন্ডিয়ান সুগার মিল অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা) জানিয়েছে, দেড় মাসে দেশটি ৪৫-৫০ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ছয় লাখ টন সরাসরি রফতানি করা হয়। চলতি মাসে আরো আট-নয় লাখ টন রফতানির কথা রয়েছে।

অক্টোবরে ভারতে চিনির বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে, যা আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। মৌসুমের প্রথম দেড় মাসে দেশটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছে। গত মৌসুমের একই সময় উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টন। ইসমা জানায়, ১ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৫-৫০ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি করেছে দেশটির মিলগুলো।

এ মাসের শেষ নাগাদ মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫ লাখ টনে। নভেম্বরে ভারত সরকার চলতি মৌসুমের জন্য ৬০ লাখ টন চিনির রফতানি কোটা অনুমোদন দিয়েছে। গত মৌসুমে দেশটি সব মিলিয়ে রফতানি করেছিল ১ কোটি ১১ লাখ টন।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

ব্রাজিলে চিনি উৎপাদন ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে ভারত

আখ সঙ্কটে চিনিকলগুলো আর বন্ধ হবে না : শিল্পমন্ত্রী

সাদা চিনিতে রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে লাল চিনি!

ব্রাজিল থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনবে সরকার

বিশ্ববাজারে বাড়ছে ভারতীয় চিনির চাহিদা। মূলত গত বছর থেকেই বিশ্ববাজারে দেশটির চিনির চাহিদা বাড়তে থাকে। এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চিনি উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ব্রাজিলে উৎপাদন ঘাটতি, ইউরোপে বৈরী আবহাওয়াসহ সৃষ্ট নানা সংকটের কথা। এ পরিস্থিতিতে গত বছর রেকর্ড চিনি রফতানি করে ভারত।

এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও বিপুল পরিমাণ চিনি রফতানির প্রত্যাশা করছেন ভারতীয় মিল মালিকরা। তবে দেশের বাজারেও ক্রমাগত চাহিদা বাড়তে থাকায় ভারত সরকার মিলভিত্তিক রফতানির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ধাপভিত্তিক রফতানি লক্ষ্যমাত্রাও বেধে দেয়া হয়। সে হিসেবে এবার প্রথম পর্যায়ে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা এটাও প্রত্যাশা করছেন, প্রথম পর্যায়ের রফতানি শেষ হলে সরকার আরো ২০ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দেবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ