প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা। ডলারের মূল্য কম-বেশির কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে পণ্যটির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষরা।

বাজারের ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, তেলের মতো বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ২২ টাকায়। আদার দাম বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।

পড়তে পারেন: ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিতে বাড়লো ৫ টাকা

আগে বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। রসুন বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। রসুন এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আজকে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। যে শুকনো মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, সেই মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়।

পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, বাজারে তেলের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনি পেঁয়াজ, আদা, রসুন মরিচের দাম হু-হু করে বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা। আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ২০ থেকে ২২ টাকায়, সেই পেঁয়াজ আজকে বিক্রি করছি ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

পড়তে পারেন: ভারতীয় পচা পেঁয়াজ বাধ্যতামূলক করেছে টিসিবি, চটেছে ক্রেতা

বাজারে পেঁয়াজ-রসুন কিনতে আসা আতাউর রহমান নামের এক ক্রেতা জানান, আমরা নিন্ম আয়ের মানুষ। প্রতিদিন যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের চলা মুশকিল। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ