বিটিএমএ’এর  প্রতিনিধি দলের সাথে

ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিটিএমএ’এর প্রতিনিধি দলের সাথে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে কৃষি মন্ত্রণালয় তাঁর অফিসকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারীখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এর নের্তৃত্বে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) এর প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।



বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সমভূমির  তুলা চাষ এলাকা ও উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলাচাষ প্রর্তনের ফলে তুলার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।  এখন আমাদের তুলার উৎপাদন প্রায় ২ লাখ বেল। যা চাহিদার চেয়ে নগন্য, বছরে ৮ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করা হয়।

তিনি জানান, বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ড তুলা গবেষণা, এর সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও জিনিং এবং ঋণ বিতরণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।

সমতল এলাকার সমভূমির জাতের তুলার আবাদ হচ্ছে এবং অতি সম্প্রতি ৩টি পার্বত্য জেলাতেও পাহাড়ি জাতের পাশাপাশি সমভূমির জাতের তুলার চাষাবাদ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো ভালো করছে। একসময় কাপড় ছিল আমদানি নির্ভর, আজ দেশের চাহিদার সম্পূর্ণ কাপড় দেশে তৈরী হচ্ছে।

তিনি বলেন, টেক্সটাইল মিলের অন্যতম উপাদান হচ্ছে তুলা। আমেরিকা, ব্রাজিল হতে তুলা আমদানি করা হয় এছাড়া ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় কৃষিমন্ত্রীর কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবি সমুহের মধ্যে অন্যতম হলো আইপি আবেদন এর সময় ও খরচ কমানো এবং পূর্বের ন্যায় করা  Fumigation খরচ কমানো।

বর্তমানে আইপি আবেদন অনলাইনে হওয়াতে সময় ও শ্রম দুটই কম লাগে এটা আরও সহজিকরণ করা। এছাড়া SRO (Special Release order) সহজিকরণ করাসহ আমেরিকা ও ব্রাজিলের Fumigation বহাল রাখার পদ্বতি পুর্ণবিবেচনা করার আহ্বান জানান।

কৃষিমন্ত্রী মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শুনেন। বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করে ঢাকা ও চট্রগ্রামের অফিস ডিজিটাইলেশন ও অটোমেশন করা হবে বলে জানান তিনি।

এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুর মুঈদ, তুলা উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দিন, উদ্ভিদ সংগোনিরোধ শাখার  পরিচালক ড. মো: আজাহার আলী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মন্ত্রী প্রতিনিধিবৃন্দদেরকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শনের আহ্বান জানালে তারা পরিদর্শনে সম্মত হন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আশির দশকে গার্মেন্টস শুরু হয়। এই শিল্পের অন্যতম উপাদান সুতা যা তুলা থেকে উৎপন্ন  করা হয়। তুলা আমদানি করতে হয়, তাই এর সাথে কোন পোকা মাকড় বা জীবানু আসে কিনা তা পরিক্ষার দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের।

তাই আমাদের কিট পতঙ্গমুক্ত তুলা আমদানি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলায় কিট পতঙ্গ বা জীবানু থাকার আশংকা নেই বললেই চলে। আমাদের চেষ্টা থাকবে আমদানি নির্ভরতা যতটুকু পাড়া যায় কমানো।

প্রতিনিধি দলের  অন্যান্য সদস্যবৃন্দেও মধ্যে ছিলেন  মোহাম্মদ আলী খোকন, প্রেসিডেন্ট বিটিএমএ, তপন চৌধুরী, প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক   সরকারের উপদেষ্টা এ মতিন চৌধুরী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিটিএমএ এ কে আজাদ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিটিএমএ সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, কনসালট্যান্ট, কটন ইউএসএ  এবং ফিরোজ আহমেদ, সেক্রেটারী জেনারেল, বিটিএমএ।

বিটিএমএ’এর  প্রতিনিধি দলের সাথে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত সংবাদটির তথ্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: কেনিয়াকে চামড়াজাত পণ্য আমদানির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর