ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিষমুক্ত সবজি চাষে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা। খরচ কম ও রোগবালাই কম হওয়ায় কৃষকরা সবজি চাষে বেশি ফলন পাচ্ছেন।

বাজারে বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন। ফলে এই জেলায় দিন দিন সবজির চাষ বাড়ছে।

জানা যায়, পরিবেশবান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নে প্রায় ১০০ একর জমিতে ৫ শতাধিক কৃষক সবজি চাষ করছেন। কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় বিষমুক্ত ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, করলা, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। বর্তমানে অধিকাংশ কৃষক জমি থেকে সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করছেন।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

আলু ছেড়ে বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষে লাভবান কৃষক

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল কৃষকরা

প্রকল্প আকারে সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা

লালমনিরহাটে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ

কৃষক মো. মুনাফ, ওমর ফারুক ও মো. আকতার বলেন, আমি আগে কীটনাশক দিয়ে শীতকালীন সবজি চাষ করলেও বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, টমেটো ও বরবটি চাষ করছি। সবজিতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হওয়ায় খরচ কম হয়েছে। এই ২ একর জমিতে সবজি চাষে আমার ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর ভালো আছে। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

কৃষক মো. ইউসুফ ও বেল্লাল হোসেন বলেন, ক্রেতাদের মাঝে বিষমুক্ত সবজির চাহিদা খুব বেশি। আর আমরা বিষমুক্ত সবজি চাষ করি। তাই আমরা সবজি অন্যান্য সবজির চেয়ে ভালো দাম পেয়ে থাকি। আগে সবজি বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে হতো। এখন পাইকাররা জমিতে এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে সবজি বিক্রি করে আমরা লাভবান হতে পারছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ দাস বলেন, আমরা প্রতিদিন চর মাদ্রাজ এলাকার জমি গুলো পরিদর্শন করি। কৃষকদের সরাসরি সবজি চাষের পরামর্শ দেই।

চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, আমরা চর মাদ্রাজের ৫ শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগীতা দিয়েছি। কৃষকরা আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। আগের থেকে বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আশা করছি আগামীতের আরো বেশি পরিমানে সবজির চাষ হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ