অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে বেশি দামে চাল আমদানি করছে শ্রীলংকা। অর্থনৈতিকভাবে সংকটাপূর্ণ পরিস্থিতিতে নজুক দেশটি খাদ্যের সংকট ও অভ্যন্তরীণ দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানি করছে। এতে বেশি দামে রফতানি করছেন বিক্রেতারা। এমনই খবর প্রকাশ করেছে আইডিএন।

মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অন্য আমদানিকারকদের তুলনায় শ্রীলংকার বাজারে তারা বেশি দরে চাল রফতানি করতে পারছেন। অন্য গন্তব্যের তুলনায় দেশটিতে রফতানি তাদের জন্য অধিক লাভজনক।

দীর্ঘদিন ধরে প্রধান খাদ্যপণ্য হিসেবে চালের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে আসছে শ্রীলংকা। এমনকি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিল দেশটি। তবে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন নাজুক। খাদ্যপণ্যের যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে না। চাহিদা মোকাবেলায় আমদানি সক্ষমতাও কমে আসছে। এ পরিস্থিতিতে চাল আমদানিতে মিয়ানমারের ওপর অধিক নির্ভরশীল হচ্ছে দেশটি।

পড়তে পারেন: শ্রীলঙ্কায় চালের কেজি ৫০০ টাকা

বেইন্টনাউং রাইস হোলসেলার ডিপোটের সাধারণ সম্পাদক উ থান ওর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সম্প্রতি মিয়ানমারের একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য বলছে, গত বছর থেকে শ্রীলংকার চাল রফতানি দেশটির জন্য অধিক লাভজনক হচ্ছে।

উ থান ওর উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় সমুদ্রপথে শ্রীলংকায় চাল রফতানি করা মিয়ানমারের জন্য বেশ সহজ। গত বছর দেশটির বাজারে রফতানি করা প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয় ৪৪০-৪৫০ ডলার। সেখানে অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ ডলারে।

সে হিসাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় মিয়ানমার থেকে চাল রফতানির জন্য ১০০ ডলারের বেশি বাড়তি ব্যয় করছে কলম্বো। এর পরও দেশটি থেকে আমদানি অব্যাহত রেখেছে তারা।

পড়তে পারেনআবারও চালের কেজিতে বাড়লো ৫ টাকা

উপরন্তু আরো চাল আমদানি করার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে দেশটি। গত জানুয়ারি সই হওয়া এ সমঝোতার আওতায় দেশটি থেকে এ বছর এক লাখ টন হোয়াইট রাইস ও আগামী বছর ৫০ হাজার টন ব্রাউন রাইস আমদানি করবে শ্রীলংকা। এজন্য প্রায় দেড় লাখ ডলার অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে দেশটির।

শ্রীলংকান কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব চালের জন্য টনপ্রতি ৪৬৫ ডলার নির্ধারণ করেছে মিয়ানমার। তবে তারা এটি আলোচনার মাধ্যমে ৪৪৫ ডলারে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে। যদিও সেটা কতটা সম্ভব হবে, সেটি এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ দেশটিতে খাদ্যপণের সংকট ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। সরকারের দেয়া তথ্যই বলছে, এ বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদা মোকাবেলায় দেশটিকে ছয় লাখ টন চাল আমদানি করতে হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ