নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহীর বাজারগুলো ব্রয়লার মুরগির কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। অন্যদিকে পাতিহাঁস ও রাজহাঁসের কেজিতে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। এছাড়া সবজির বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পটল, করলা, শিমসহ বিভিন্ন সবজি।

বুধবার (১৬ মার্চ ২২) রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া, উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষীপুর নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

শান্তি নেই মাংসের বাজারে। বাজারে মুরগি, গরু ও খাশির মাংসের দাম বেড়েছে। গতবছরের তুলনায় প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির মাংসে ২০ টাকা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় ঠেকেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকাভ এছাড়া গরুর মাংসে ২০ টাকা বেড়ে ৬০০ এবং খাশির মাংসে ৫০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। প্রতিকেজি পাতিহাস বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা যা আগে ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা, রাজহাঁস ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: আগামীকাল থেকে যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য কেনা যাবে

অন্যদিকে গতসপ্তাহের বাড়তি করলা কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজির চাহিদা থাকায় দাম বেশি। এছাড়া পুরো বছর জুড়েই সবজির দাম কমেনি। পটলের দাম বাড়ার কারণ বাজারে নতুন এসেছে।

রাজশাহীর বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০, লাউ ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা পিস, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মানভেদে করলা কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা ও শসা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: পটলের কেজি ১২০ টাকা

মুরগি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা।

রাজশাহী নিউমার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানে মুরগি নেই। পিকনিকে রোস্ট করার জন্য ২০ কেজি সোনালী ২৬০ টাকা দরে বিক্রি করে দিয়েছি। সোনালি মুরগি বাসাবাড়ির পাশাপাশি হোটেলের জন্যও বিক্রি হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সোনালি মুরগি ব্যবহার করা হয়। আর ব্রয়লার মুরগি সাধারণত বাসাবাড়িতে খাওয়ার জন্য কিনেন ক্রেতারা। এ কারণে অনুষ্ঠান বেশি হলে ব্রয়লার মুরগির তুলনায় সোনালি মুরগি বেশি বিক্রি হয়। এই কারণেই সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে।

পড়তে পারেন: সবজির দামে মিলছে মাংস

সবজির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজি ব্যবসায়ী হামিদ মিঞা জানান, এবার শীতকালীন সবজির দামও চড়া ছিল। এক সপ্তাহখানেক কম থাকলেও পরে থেকে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। ফুলকপি গরম পড়লে কেউ খায় না, বিক্রি করতে পারি না। কিন্তু এবার ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাতাকপি গরুকে খাওয়ানো হতে; এবার ৩০ টাকার উপরে দাম। আমদানি আর চাহিদার কারণে কৃষকরা সবজির ভালো দাম পেয়েছে। আমরাও ব্যবসায় ভালো লাভ করেছি।

মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বড় ইলিশ কেজিতে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ছোট ইলিশ গত সপ্তাহের মতই ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১শত টাকা কম, রুই মাছ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি, মিড়কা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, টেংরা মাছ কেজিতে ১শত টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পড়তে পারেন: রমজানের আগেই ৪ পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে টিসিবি

এদিকে ডিমের বাজারে লাল ডিম হালিতে এক টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা হালি, সাদা ডিম ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা হালি, হাঁসের ডিম ৬৫ টাকা ও কোয়েলের ডিম প্রতিপিস ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা এবং খোলা তেল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সরিষার তেলের লিটারে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। গত ১০ থেকে ১৫ দিনের ব্যবধানে বাজারে ৫ লিটারের রাইস ব্রান্ড তেলের দাম ৮২০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকায় এবং ৫ লিটারের সান ফ্লাওয়ার তেল ১৫০০ টাকার পরিবর্তে হয়েছে ১৫২০ টাকা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ