অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চা উৎপাদন ও রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। করোনায় আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ব্ল্যাক টি’র দাম কমে গেছে। অপরদিকে ভারতে তুলনামূলক দাম বেশি। ফলে ক্রেতারা চা আমদানিতে ভারতের তুলনায় কেনিয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছে বেশি। এ নিয়ে ব্ল্যাক টি রফতানিতে শঙ্কায় ভারতীয় রফতানিকারকরা।

ব্ল্যাক টি রফতানিতে শঙ্কায় ভারত সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেছে ইকোনমিক টাইমস।

ভারতের বাজারে এক কেজি চা কিনতে আমদানিকারকদের লাগছে ২১৫ রুপি। কিন্তু কেনিয়ায় ১৪১ রুপিতে তা পওয়া যাচ্ছে। প্রতিকেজি চা বেশি মূল্যে তারা কিনতে রাজী হচ্ছে না। ফলে তারা কেনিয়ার বাজারের দিকে ঝুঁকছে। বাজারের নিয়ম অনুযায়ী যেদিকে ক্রেতারা কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন সেদিকে তাঁরা ঝুঁকবেন।মূলত এ কারণে আমদানিকারকরা ভারতের তুলনায় কেনিয়াকে চায়ের নির্ভরশীল বাজার বিবেচনা করতে শুরু করেছেন।

টি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার মতে, এখনো ভারতের বাজারে চায়ের দাম বাড়তি রয়েছে। আবার টি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বরে ভারতের বাজারে রফতানিযোগ্য সিটিসি (মিনিমাইজ, টিয়ার, কার্ল) গ্রেডের চায়ের গড় দাম দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ২১৫ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা), যা আগের মাসের তুলনায় ১৩ শতাংশ। তবে এর আগের মাসে ভারতে পানীয় পণ্যটির গড় দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৪৭ রুপি। করোনা মহামারীর মধ্যে টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর নভেম্বরে কমে এলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

ভারতের তুলনায় কেনিয়ার বাজারে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম ২ ডলারের কম। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির গড় দাম দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ১ ডলার ৯০ সেন্টে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৪১ দশমিক ৫৫ রুপি। এর আগের সপ্তাহে কেনিয়ায় প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম ছিল ১ ডলার ৯২ সেন্ট। আর এ দাম কমেছে মাত্র টানা ১১ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে।

পানীয় পণ্যটির শীর্ষ উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কেনিয়া। অন্যদিকে কেনিয়া বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ চা রফতানিকারক দেশ। স্বাভাবিকভাবেই চায়ের বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যে ভারত ও কেনিয়ার মধ্যে আগে থেকেই প্রতিযোগিতা ছিল। করোনা মহামারীর মধ্যে এ প্রতিযোগিতা আরো জোরালো হয়েছে।

ব্ল্যাক টি রফতানিতে শঙ্কায় ভারত শিরোনামে সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে নেওয়া হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ