হিলি প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে যে কেউ পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছেন না। যাদের এলসি খোলা রয়েছে শুধুমাত্র তাদের পেঁয়াজ দেশে ঢুকছে। ফলে ভারতের অভ্যন্তরে অনেক পেঁয়াজ আটকে আছে দেশের ব্যবসায়ীদের। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা।

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমে যাওয়াকে দাম বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সবাই আমদানি করতে না পারায় বন্দর দিয়ে আমদানির পরিমাণ কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ৩৫-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। অথচ গতকাল মাত্র ১৭ ট্রাক আমদানি হয়েছে। ব্যাংক আবার এলসি খোলা শুরু করলে আমদানি বাড়বে এবং দাম কমে আসবে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

নওগাঁর মহাদেবপুরে মিষ্টি আঙ্গুর চাষে সফল আইনজীবী সামিম

দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে অম্লমধুর লটকন

চেরি টমেটোর চার নতুন জাত উদ্ভাবন

বাড়ির ছাদে মাল্টা চাষে তাক লাগিয়েছেন রাজশাহীর সেন্টু

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, ভারতে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। সেদেশের বাজারেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বাড়তি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে এলসি সংকট।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজ ৩৩-৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুদিন আগে ছিল ২৬-২৭ টাকা। এছাড়া একই জাতের বড় আকারের পেঁয়াজ ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুদিন আগে ছিল ২৯-৩০ টাকা। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩৮-৩৯ টাকা।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব হোসেন বলেন, বাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তাতে পেঁয়াজ কিনতে সাহস হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার যে পেঁয়াজ ২৭-২৮ টাকা বিক্রি হয়েছিল, তা শনিবার বেড়ে ৩৩-৩৪ টাকায় উন্নীত হয়। দামের এমন ওঠানামার কারণে মোকামে পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে আমরা যেসব মোকামে পেঁয়াজ পাঠাতাম, সেসব স্থানে চাহিদা না থাকায় কেনা থেকে বিরত রয়েছি।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, শনিবার বন্দর দিয়ে ১৭টি ট্রাকে ৪৩৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যেখানে বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ২৩টি ট্রাকে ৬৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও তা কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ৩০-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫-২০ ট্রাকে নেমেছে। এজন্য পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ