নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। ফলে দেশী কাঁচামরিচের কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা।

শনিবার দেশি কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল ২২০ টাকা দরে। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। রোববার হিলি বাজারের ব্যবসায়ীদের দেওয়া এসব তথ্য পাওয়া যায়। দাম কমাতে স্বস্তি ফিরেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে গত এক সপ্তাহ আগে চড়া দামে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের ঝাঁঝ কমেছে। ২২০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ আজ রোববার ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামরিচ সংকটের কারণে বাজারে কিছুটা টান পড়ে ফলে বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম।

পড়তে পারেন: ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু

হিলি বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা আরমান হোসেন বলেন, দেশের বাজারে সব কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে কিছুটা কমেছে দাম। দেশের কৃষকরা কাঁচামরিচ উৎপাদন করে থাকে। যখন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ হয় তখন দেশের কৃষকরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে সাধরণ ভোক্তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়। ভারত থেকে নিয়মিত কাঁচামরিচ আমদানি হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে ভারতীয় কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি কাঁচামরিচ বাজারে নেই। কারণ দেশি কাঁচামরিচের দাম বেশি। ভোক্তারা বেশি দামে দেশি কাঁচামরিচ কিনতে চাচ্ছে না।

পড়তে পারেন: একলাফে দ্বিগুণ কাঁচা মরিচ, কমেছে পেঁয়াজের দাম

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করলে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এখন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২ হাজার টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।

ফলে গতকাল শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে প্রায় ৬০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। ফলে হিলি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে কমতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ