ছবি: সংগৃহীত

ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব), এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মরিচা রোগ (Rust) রোগের কারণ হিসেবে ইউরোমাইসিস ভিসিয়া-ফেবেই (Uromyces vicia-fabae) নামক ছত্রাককে দায়ী করা  হয়।আসুন জেনে নিই মসুরের মরিচা রোগের কারণ ও প্রতিকার।

যে ভাবে এ রোগের বিস্তার:
মধ্য জানুয়ারী থেকে ফেব্রুয়ারী মাসে রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়। আক্রান্ত বীজ, বিকল্প পোষক ও বাতাসের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে থাকে। উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা হলে, কুয়াচ্ছন্ন বা মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা ১৬-২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়।

রোগের লক্ষণ:
এ রোগ গাছের মধ্যম বয়স অর্থাৎ ফুল আসার সময় থেকে শুরু হয়।
প্রথমে পাতায় মরিচা রংয়ের ছোট ছোট ফোস্কা পড়া দাগ দেখা যায়।
পরবর্তীতে দাগগুলো গাঢ় বাদামী বা কাল রং ধারণ করে।
কান্ড বা ফলেও এমন লক্ষন দেখা যায়।
আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে পাতা ঝরে যায় এবং ফল পাকার পূর্বেই গাছগুলো শুকিয়ে যায়।

আরোও পড়ুন: মরিচের কয়েকটি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা

বন্যায় ডুবে যাওয়া ধানের পরিচর্যা করবেন যেভাবে

গম ক্ষেতে ইঁদুর দমনের কৌশল ও সতর্কতা

রোগের প্রতিকার:
রোগ সহনশীল জাত যেমন- বারি মসুর ৫, ৬, ৭ ও ৮ চাষ করতে হবে।
কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন) অথবা কার্বোক্সিন + থিরাম (যেমন-প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে।
আগাম অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বীজ বপন করতে হবে।
ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।
জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া এবং জৈবসার প্রয়োগ না করা।
প্রোপিকোনাজোল (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা টেবুকোনাজল (যেমন-ফলিকুর ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

বি.দ্র:কৃষি বিষয়ে আপনার জানা- জিজ্ঞাসার সকল তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পাবেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন মেসেজের মাধ্যমে।২৪ ঘণ্টা কৃষির যত্নে, কৃষকের সাথে (ফসল, মৎস্য, প্রাণি, পোল্ট্রি) পরিপূর্ণ নিউজপোর্টাল, কৃষির সব খবর পেতে পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গেই থাকুন।

মসুরের মরিচা রোগের কারণ ও প্রতিকার লেখাটি লিখেছেন ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব)।