চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে তুষার আলী (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মেরামাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুর প্রায় দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে ।

তুষার উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তুষার এর বাবা ছহির আলী পৌরসভার মেরামাতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে কিশোর তুষার মেরামাতপুর গ্রামের মৃত জয়েন শাহের ছেলে জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। কিছু সময় পর পুকুর মালিক জহিরুল পুকুর পাড়ে আসলে পুকুরে গোসলরত কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় তুষারকে আটক করে জহিরুল কান ধরে উপরে নিয়ে আসে। পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন তুষারকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পরবর্তীতে পুকুর মালিক জহিরুল ইসলাম কিশোরটিকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করে। এতে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

পুকুর মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝে মাঝেই আমার পুকুর থেকে মাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। তুষার নামের ঐ ছেলেটিসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করে। আজকে হাতে নাতে ধরতে পেরেছি। এজন্যই তাকে আটক করে কিছু সময়ের জন্য গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে ও ফেসবুকে ছবি শেয়ার করা হয়েছে।’

কিশোরটির বাবা ছহির আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জহিরুল আমার ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে। অন্য কেউ মাছ চুরি করতে পারে, আমার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। তবুও তাঁকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি একটু আগেই শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে।’

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ