ইসলাম ও জীবন ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মিথ্যা ভয়াবহ সামাজিক ব্যধি। মিথ্যাচর্চা সমাজে নানামুখী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। আল কুরআনে মিথ্যা পরিত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সত্যবাদিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত যারা মিথ্যাবাদী। ’ (আলে ইমরান, আয়াত : ৬১)।

নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মিথ্যা পাপাচারের দিকে পথ দেখায়। আর পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। মানুষ মিথ্যা বলতে থাকলে আল্লাহর কাছে মিথ্যুক হিসেবে তার নাম লেখা হয়। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬২৯)। ইসলাম প্রত্যেক মানুষকে সর্বদা সত্য কথা বলা, সত্যকে আঁকড়ে থাকা, সত্যের ওপর অবিচল থাকা এবং সর্বাবস্থায় সত্যতা রক্ষা করে চলার নির্দেশ দিয়েছে।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন মজিদে ঘোষণা করেন, ‘হে ইমানদাররা! আল্লাহকে ভয় করো আর সর্বদা সত্য কথা বলো।’ অন্যদিকে প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘সত্যবাদিতা মানুষকে মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা ধ্বংস করে।’ মহানবী (সা.) স্বয়ং ছিলেন সত্যবাদিতার জীবন্ত আদর্শ। তাঁর সত্যনিষ্ঠার জন্য চরম শত্রুরাও তাঁকে আলামিন বা বিশ্বাসী উপাধিতে ভূষিত করেন।

‘রাহমাতুলল্লিল আলামিন’ প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যখন মিথ্যা বলে, তখন রহমতের ফেরেশতা এক মাইল দূরে সরে যান তার মিথ্যার ভয়ানক দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার জন্য।’ (তিরমিজি শরিফ) মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, মিথ্যা এবং বিশ্বাস ভঙ্গ ব্যতীত অন্য অনেক দুর্বলতাই মুমিন চরিত্রে থাকতে পারে। (আহমদ-বায়হাকি) অর্থাৎ মিথ্যাচার এবং বিশ্বাস ভঙ্গের স্বভাব ইমানের সম্পূর্ণ বিপরীত।

ইমানের সঙ্গে এ দুটি বদভ্যাস একীভূত হওয়া অসম্ভব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মিথ্যা হলো সব কবিরা গুনাহের মা।’ কারণ একটি মিথ্যাকে ঢাকতে বা মিথ্যাকে বৈধ করার জন্য শত মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। আল্লাহ তায়ালা মিথ্যাকে জুলুম বা অত্যাচার বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ পাক বলেন, ‘অতঃপর যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করেছে, তারা অত্যাচারী।’ তিনি আরো বলেন, ‘মিথ্যা তারাই বলে, যারা আল্লাহর আয়াতে ইমান রাখে না।’

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমার বুঝতে পারি যে মিথ্য বলা মহা পাপ। মিথ্য সকল ভালো আমলগুলো ধ্বংস করে দেয়। তাই আমাদের সর্বদা মিথ্যা বলা পরিহার করতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই আমল করার তৈৗফিক দান করেন (আমীন)।

মিথ্যার পরিণাম নিয়ে যা বলছে ইসলাম শিরোনামে লেখাটির তথ্য কালের কণ্ঠ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।এগ্রিকেয়ার / এমবি