অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে চালের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ ঠিক রাখতে মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন আতপ চাল কেনার প্রস্তাব নীতিগতভাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যাতে প্রতি কেজির দাম পড়বে ৪৪ টাকার কিছু বেশি।

জানা গেছে, সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে এই চাল আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃতব্য প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৬৫ ডলার। বর্তমানে ডলারের দর ৯৫ টাকা হিসাবে প্রতি টনের দাম পড়ে ৪৪ হাজার ১৭৫ টাকা। এই হিসাবে এক কেজির দাম ৪৪ টাকা সাড়ে ১৭ পয়সা।

দেশের বাজারদরের তুলনায় মিয়ানমারের এই দর অনেকটাই কম। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে চালের কেজি এখন সর্বনিম্ন ৪৭ থেকে ৭০ টাকা। প্রধান খাদ্যশস্যটির আমদানি শুল্ক কমানোর পর গত এক সপ্তাহে দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকার মতো কমেছে। এক সপ্তাহ আগেও এই দর ছিল ৫৪ থেকে ৭৫ টাকা।

পড়তে পারেন: বেশি দামে চাল আমদানি করছে শ্রীলংকা

মিয়ানমার থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিতে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তবে বৈঠক শেষে কোনও ব্রিফিং করা হয়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিকও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে সম্মত হননি।

এর আগে ভারত থেকে চাল আমদানির কথা বলা হয়েছিল। তবে দেশটিতে বেড়েছে চালের দাম। বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত। তবে দেশটিতে এক বছরের সর্বোচ্চে উঠেছে চালের দাম। চলতি সপ্তাহে শস্যটির এ দাম বেড়ে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে বিজনেস রেকর্ডার।

পড়তে পারেন: ১৫ টাকা কেজি মিলছে চাল

ভারতের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সত্যম বালাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগারওয়াল বলেন, বাংলাদেশের দরপত্রের কারণে ভারতীয় সেদ্ধ চালের দাম বেড়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করবে। বিভিন্ন জাতের চাল রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উদ্বেগের কারণেই পণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

তথ্য বলছে, চলতি সপ্তাহে ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ৩৭৯-৩৮৭ ডলার মূল্যে, যা ২০২১ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে একই জাতের চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৩৬৬-৩৭২ ডলার। এ নিয়ে টানা তৃতীয় সপ্তাহের মতো দাম বেড়েছে।

পড়তে পারেন: দুই মাসে ভারত থেকে ১৯ হাজার ৪৮৯ টন চাল আমদানি

ভারতের সরকার ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শতভাগ ভাঙা চাল রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপের চিন্তাভাবনা করছে ভারত। মূলত অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে দেশটি। এদিকে পর্যাপ্ত সরবরাহের প্রভাবে সাদা চালের বাজার স্থিতিশীল।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ