নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম:  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সকল সহযোগিতা করবে সরকার।”

রবিবার (২১ মার্চ ২০২১) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার সহযোগিতা দিবে এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে অত্যন্ত আগ্রহী। এ শিল্প বিকাশে যেখানেই সমস্যা হবে সেটা আমরা সমাধান করবো। যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করবো। মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরীর শিল্প দেশে বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ আমরা কমাতে পারবো এবং কম মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভোক্তোদের নিকট পৌঁছে দিতে পারবো। একইসাথে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো।”

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, “রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, ভালো ব্যবস্থাপনা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের আজকের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হতো না। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভ্রাম্যমান বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকগণ যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এর নেপথ্যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে।”

বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এসময় প্রধান অতিথি আরো যোগ করেন, “আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে অন্ধকার থেকে গোটা জাতিকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের জীবনমান এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কেউ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাবে থাকতে হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তান, নেপাল এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে সম্ভব হয়েছে। একজন ভালো ক্যাপ্টেনের কারণে হয়েছে। রাষ্ট্রকে তিনি পরিচালনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা সুন্দর থাকলে সবকিছু সামনের দিকে এগিয়ে যায়।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি এমন একটি খাত যেখান থেকে আমরা মাংস ও ডিম পাচ্ছি। এ খাত থেকে খাবারের একটা বড় অংশের যোগান আসছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে এ খাত। দেশের উন্নয়নে অন্যতম বড় খাত হবে পোল্ট্রি খাত-এ প্রত্যাশা করি।”

মৎস্য ও পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার এবং একাধিকবার মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাজনিত সমস্যা অচিরেই সমাধান করা হবে বলেও এসময় আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, “গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যে সাংবাদিকরা কাজ করেন তাদের সকলকে অ্যাওয়ার্ড দিতে না পারলেও তাদেরকে মনেপ্রাণে আমি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। তবে অপসাংবাদিকতার বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল।

অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ৪জন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে ৪জন, বার্তা সংস্থা/অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন ও পোল্ট্রি/কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন/অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ শিল্প বিকাশে সকল সহযোগিতা করবে সরকার সংবাদের তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ