যথাযথ মর্যাদায় বাকৃবিতে আন্তর্জাতিক

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: যথাযথ মর্যাদায় বাকৃবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্বরণে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) সকাল সাড়ে ৭টায় ভাষা শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য  অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব থেকে সকাল ৭ টায় একটি প্রভাত ফেরি বের করে। প্রভাত ফেরিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন  ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন হল, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ড, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড, কর্মকর্তা- কর্মচারি সমিতির পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতি শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে  ‘ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির। এসময়  শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: বাকৃবি’র পিএইচডি ডিগ্রী কারিকুলামে কোর্স অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক

যথাযথ মর্যাদায় বাকৃবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন এর পাশাপাশি সারাদেশে পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা দিবস। এ উপলক্ষে রাত ১২টায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ স্থানীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্বরণ করছেন।

এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পক্ষ থেকেও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৬৮ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা।

এই অনন্য ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই মহান একুশের সংগ্রামের দিনটি বিশ্বজুড়ে পালন করা হচ্ছে।