মালিকুজ্জামান কাকা, যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাটের নিমতলায় ৭৪ মণ নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর জব্দ করার পর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ যশোরের অধিনায়ক লে. কমান্ডার নাজিউর রহমান নিমতলা থেকে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর বোঝাই দু’টি ট্রাক জব্দ করেন। এরপর রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জয়নাল আবেদিন ও রিপন হোসেন নামে দুইজনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

জয়নাল চাঁচড়া ডালমিলের মৃত আব্দুর কাদের মোল্লা ও রিপন ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটগর গ্রামের মালন মিয়ার ছেলে।

জব্দকৃত ৭৪ মণ আফ্রিকান মাগুর চাঁচড়া মৎস্য বিক্রি কেন্দ্রের পাশে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এসব মাগুর চাঁচড়ার মাছ ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন চট্টগ্রামে পাঠাচ্ছিলেন বলে জানায় র‌্যাব। ট্রাক চালক ইমরান হোসেন জানান, জয়নাল দালালের কথামতো তিনি মাছ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এগুলো নিষিদ্ধ তা তিনি জানতেন না।

পড়তে পারেন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০ মণ আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ

র‌্যাব-৬ যশোরের অধিনায়ক লে. কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, সোমবার বিকেল পাঁচটায় নিমতলা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় অভিযান চালিয়ে ট্রাক দু’টিকে জব্দ করা হয়। ড্রাইভার পাঙ্গাস মাছ বলে প্রতারণার চেষ্টা করলেও তারা নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর হিসেবে চিহ্নিত করেন। পরে ট্রাকসহ মাছ চাঁচড়া মৎস্য বিক্রি কেন্দ্রে এনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশ বলেন, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে দু’ড্রাইভারকে পাঁচ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আফ্রিকান মাগুর চাষ, পরিবহন বা বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানান তিনি। মাছ ধ্বংস ও জরিমানা আদায়কালে সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার সাইদুর রহমান রেজা উপস্থিত ছিলেন।

পড়তে পারেনদেশী মাগুরের সাথে তেলাপিয়া মাছ চাষের সুবিধা

স্থানীয়রা জানান চিহ্নিত মাগুর ব্যবসায়ি নাজমুল হোসেন সরকারি মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্রের পিছনে বসবাস করে। তার পিতার নাম আউয়াল হোসেন। সদর উপজেলার মালঞ্চি গ্রামে তার আরো প্রায় নিষিদ্ধ মাগুর মজুদ রয়েছে পুকুরে।

ডালমিলের জনৈক কামরুল ওরফে ট্যারা কামরুলসহ অন্তত ২০/২২ জন এখনো সরকারি নিষেধ অমান্য করে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মাগুরপট্টি রাস্তার পাশে তাদের এসব নিষিদ্ধ মাছ বিক্রির অফিস পর্যন্ত রয়েছে। যদিও ওসব অফিসের কোন অনুমতি বা মাছ বিক্রির ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা তা জানা যায়নি। অথবা এরা কোন খুঁটির জোরে নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুরের দেদারছে অবৈধ ব্যবসা করছে তা কারো বোধগম্য হচ্ছেনা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ